রাজধানীতে চাঁদা তুলতে বাধা দেয়ায় আ.লীগ নেতা খুন

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২২, ১৭:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার শহীদ ফারুক সড়কে পূর্বশত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম আবু বকর সিদ্দিক হাবুকে (৩৮)। পেশায় কাঁচামাল ব্যবসায়ী হাবু যাত্রাবাড়ী থানার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ নম্বর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়ক থেকে দয়াগঞ্জ পর্যন্ত ফুটপাতের প্রায় ৩০০ দোকান থেকে চাঁদা তুলতেন স্থানীয় বিএনপি কর্মী ফাহিম। হাবু এতে বাধা দেয়ায় ফাহিমের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

 

জানা গেছে, ওই সব দোকান থেকে দৈনিক ১০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হতো। পাশাপাশি প্রতিটি দোকান থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য নেয়া হতো ৩০ টাকা। এ নিয়ে হাবু ও ফাহিমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল।

 

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে হাবুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত হাবু দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর মধ্যপাড়ার চনদনকোঠা বাজার এলাকায় স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর।

 

নিহত আওয়ামী লীগ নেতা হাবুর স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আমাকে টাকা দিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে বলে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর জানতে পারি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার স্বামী কাঁচামাল বিক্রি করত। তার কোনো শত্রু ছিল না। তবে ফাহিম তার গলায় ধরে বুকে ছুরি মেরেছে বলে শুনেছি। এখন আমি ছোট ছোট তিন সন্তান নিয়ে কীভাবে চলব। আমি জড়িতদের বিচার চাই।

 

আওয়ামী লীগ নেতা হাবু হত্যার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহিদুল আলম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছে।

 

বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, যাত্রাবাড়ী আওয়ামী লীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ কাজ করছে। ওই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

 

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এএইচ/ইএস)