যেভাবে ডিম-মুরগির রেকর্ড দাম, কারওয়ানবাজারে গিয়ে জানল ভোক্তা অধিকার

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৪:৪৬ | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৮:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশে সম্প্রতি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে ডিমের দাম। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় শামিল হয়ে রেকর্ড দাম বাড়িয়েছেন ডিম ও মুপগি ব্যবসায়ীরা। যদিও দেশে ডিমের কোনো সংকট নেই। অসৎ ব্যবসায়ীরা কারচুপির মাধ্যমে ডিম ও মুরগির দাম বাড়িয়েছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ক্যাশমেমো তৈরি করে সেখানে অতিরিক্ত মূল্য দেখানো হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে পাইকারি ও খুচরা দোকানে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার। এসময় কারচুপির মাধ্যমে ডিম ও মুরগির দাম বাড়ানোর অভিযোগে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে শুনানির জন্য ডাকা হয়।

যেসব প্রতিষ্ঠান কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে সেগুলো হল-হিমালয় ট্রেডার্স ডিমের আড়ৎ, জনতা মা মনি ডিমের আড়ৎ, সততা মুরগির আড়ৎ এবং আলহা্বজ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ টি প্রতিষ্টানকে প্রতিষ্ঠান মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানানা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডলএর মধ্যে হিমালয় ট্রেডার্স ডিমের আড়ৎ, জনতা মা মনি ডিমের আড়ৎ, সততা মুরগির আড়ৎকে ২০ হাজার করে অর এবং আলহা্বজ প্রতিষ্ঠানাকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ‘ডিম ও মুরগির দাম বাড়ানোর কারসাজি নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকারের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আমরা কারওয়ানবাজারে অভিযান চালাই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অধিক মূল্যে ডিম ও মুরগি বিক্রি, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ক্রয় ও বিক্রয়ের রশিদ না দেওয়ার অভিযোগে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।

আব্দুল জব্বার মন্ডল আরও বলেন, ‘আমরা অভিযানে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ক্যাশমেমো পেয়েছি। অর্থাৎ যে দোকানের নামে ক্যাশমেমো করা হয়, সে দোকানের কোনো অস্তিত্ব পাইনি। সে প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে ডিমের আরেক বড় বাজার মুন্সীগঞ্জেও দাম ঊর্ধ্বগতিতে। বৃহস্পতিবারের চিত্র অনুযায়ী সকালে মুন্সীগঞ্জে পাইকারীতে ৩৪ টাকা হালি ডিম বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু দুপুর গড়াতেই এর দাম উঠে যায় ৪৪ টাকাতে। খুচরা বাজারে এটি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা হালি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় খামারে শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। আবার তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে। সব মিলিয়ে ডিমের এ দাম বেড়েছে।

খুচরা বাজারে অনেক বেশী দামে বিক্রি হওয়াকে অযৌক্তিক বলছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

আর খুচরা ব্যবসায়ীরা পাল্টা দাবী করে বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশী দামে কেনার কারণে খুচরা বাজারেও বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/এমএইচ/এফএ)