আট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৬ হাজার শিক্ষার্থীর আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট ২০২২, ২০:১৭

দেশের আট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে। একযোগে এ ভর্তি পরীক্ষায় ৭৬ হাজারের বেশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আবেদনের সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না।

মঙ্গলবার রাত ১২টায় আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়। এ ছাড়াও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ৭টি কেন্দ্রে একযোগে এ ভর্তি পরীক্ষা হবে ১০ সেপ্টেম্বর।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘৭৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন। আবেদনের সময়সীমা বুধবার রাত ১২টায় শেষ হয়। আবেদনের সময় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’

‘ভর্তি পরীক্ষা পূর্নাঙ্গ সিলেবাসের আলোকে হবে সেটি আগে নির্ধারণ করেছিল কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কমিটি। তখন সমালোচনার জন্য সিলেবাসের কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে নতুন মিটিং অনুসারে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থেই কমিটি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে।’

‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ৩০ থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সাতটি কেন্দ্র ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উপকেন্দ্রের অধীনে একযোগে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো সিলেকশন করা হবে না।’

তিনি জানান, এ বছর অষ্টম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বাকি ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার কেন্দ্র হবে।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ৩০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী মোট ৭টি কেন্দ্র ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উপকেন্দ্রের অধীনে একযোগে হবে। এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ে ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বর দেয়া হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে।

মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের জন্য ২৫ এবং এইচএসসি বা সমমানের জন্য ২৫ নম্বর যোগ করে ফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং ভর্তি কমিটি যেকোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন ও পরিমার্জনের অধিকার রাখে।

ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।

পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর তালিকা অনুযায়ী আবেদনকারীকে ১ থেকে ৭ পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের পছন্দক্রম উল্লেখ করতে হবে। তবে আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুযায়ী পরীক্ষা কেন্দ্রের আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে।

ওয়েবসাইটের ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য www.acas.edu.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত আসন- কৃষি গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট আসন রয়েছে ৩ হাজার ৫৩৯টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন রয়েছে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে, এক হাজার ১১৬টি।

এ ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬০, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন রয়েছে। এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০টি ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০টি আসন যোগ হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/এসকেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :