লক্ষ্মীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের মারধরে যুবলীগ নেতা হাসপাতালে

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ইব্রাহিম খলিল নামে এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মীর্জা আশরাফুল জামাল রাসেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইব্রাহিম খলিল গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

ইব্রাহিম তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী। তিনি একই এলাকার চৌধুরী মিয়ার ছেলে।

আহত ইব্রাহিম খলিল জানান, বুধবার রাতে তিনি নিজ দোকানে বসে ছিলেন। চেয়ারম্যান রাসেল মোটরসাইকেলে লোকজন নিয়ে তার দোকানের সামনে আসেন। এসময় রাসেল বলে, তোকে (ইব্রাহিম) অনেক দিন ধরে খুঁজছি, কিন্তু পাচ্ছি না। এখন পেয়েছি বলেই একটি এসএসের পাইপ দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে ইউপি চেয়ারম্যান। তবে রাসেলের সঙ্গে অন্যরা কেউ কিছু করেনি। সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী ও তোরাবগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার কারণেই তাকে পেটানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, রাসেল নিজেই আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছেন। তার পায়ে ধরলেও পেটানো বন্ধ করেননি। পরে আশপাশের লোকজন এলে তাদেরও রাসেল পেটাতে যান। এসময় আমি পালিয়ে রক্ষা পায়।

ইউপি চেয়ারম্যান মীর্জা আশরাফুল জামাল রাসেল বলেন, মাদকসেবন ও বিক্রিসহ এলাকায় চুরি বেড়ে গেছে। এটি নিয়ন্ত্রণে রাতে বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনে বের হই। রাত ১টার পরে ইব্রাহিমের দোকান খোলা ছিল। দোকান খোলার কারণ জানতে চাইলে ইব্রাহিম তর্ক শুরু করে। এতে তাকে একবারই আঘাত করা হয়েছে। তার করা অভিযোগ সত্য নয়।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। কেউ এখনও লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। চেয়ারম্যান রাসেল বলেছে জুয়া খেলার কারণে কে বা কারা ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করেছে। চেয়ারম্যান তাকে মারেনি বলেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/এলএ)