দেশ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে তলিয়ে গেছে, অভিযোগ ফখরুলের

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০২২, ২৩:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, মানুষ আজ অধিকারহারা। জনগণের মৌলিক মানবিক অধিকারগুলো ধূলায় লুটিয়ে দেয়া হয়েছে। গুম, খুন এবং ক্রসফায়ারের কর্মসূচির কারণে সমাজে এক ভয়ংকর আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণে দেশ আজ ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে তলিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় খুলনার নিউ মার্কেট এলাকায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মীসভায় স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় বিএনপি নেতা- মোল্লা ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, কামরুজ্জামান সবুজ, টুটুল, মো. আবু সাঈদ হাওলাদার, মনিরুজ্জামান কাজল, সাবেক কাউন্সিলর হাসনা হেনা, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি, বদরুল আনাম খান, মিজানুর রহমান মিজান, জি এম বাবুল, সৈয়দ তানভির, শফিকুল ইসলাম শফি, সনিয়া খান, রুবিনা খাতুন, আল-আমিন, নজরুল ইসলাম বাবু, বাদশা ও  শ্রমিক দল নেতা ইলিয়াস মোল্লাসহ প্রায় ৫০ জনের অধিক বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গুরুতর আহত হন। মির্জা ফখরুল এ সন্ত্রাসী ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে কেউ যাতে সাহসী না হয় সেজন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দানব তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের ওপর আক্রমণ সীমাহীন মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হায়নাদের কারণে জনপদের পর জনপদ রক্ত ঝরছে এবং জীবনহানী হচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা মানুষের ভোটাধিকারসহ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে এরা গণতন্ত্রকে দাফন করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার সন্ত্রাস নির্ভর সরকার বলেই দলীয় ক্যাডাররা আগ্রাসী ভূমিকা পালন করছে, ফলে রাষ্ট্র-সমাজে চলছে চরম বিশৃঙ্খলা। বর্তমানে নব্য বাকশালী ব্যবস্থা বিশে^র সকল কর্তৃত্ববাদকে অতিক্রম করেছে। এদের বেপরোয়া দুঃশাসনে দেশের সর্বত্র কেবল মানুষেরই আর্তনাদই শোনা যায়। এদের আমলে সরকারি বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের কর্তৃক মানুষ হত্যা এবং অপঘাতে মৃত্যুর প্রকোপ অতীতের সকল নজির অতিক্রম করেছে। মধ্যরাতের নির্বাচনে গণতন্ত্র হত্যার পরেও জনগনের ওপর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের জুলুম-নির্যাতন থামেনি বরং তীব্র গতিতে তা অব্যহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দুর্বিষহ লোডশেডিং, খাদ্যপন্যের অস্বাভাবিক দামের কারণে মানুষের যে নাভিশ্বাস উঠেছে সেখান থেকে দৃষ্টি সরাতে মানুষের মনে ভয় ঢুকাতেই তারা জুলুমের পথ বেছে নিয়েছে। গতরাতে খুলনায় বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মীসভায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা তারই ধারাবাহিকতার একটি অংশ। সরকারের চলমান নীপড়ন নির্যাতন দেশ থেকে বিরোধী দলকে নিশ্চহ্ন করার একটি মাস্টারপ্ল্যান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সব দুষ্কর্ম, অপকীর্তি ও দুঃশাসনের জন্য বর্তমান সরকারকে জনগণের নিকট একদিন চরম মূল্য দিতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার পুনদ্ধারের জন্য স্বৈরাচারি সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে দূঢ়-অঙ্গীকারাবদ্ধ। তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে জনগণ সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/ইএস)