শাকিব খানের সেই ঘটনায় নিরবও হতবাক

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০২২, ১০:৫৪

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯ মাস পর দেশে ফিরেছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। বুধবার দুপুর ১টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা শাকিবের হাজারো ভক্ত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন বিমানবন্দরের বাইরে। অপেক্ষায় থাকেন কখন আসে তাদের প্রিয় তারকা।

শাকিব খান বিমানবন্দর থেকে বের হন দুপুর সোয়া ১টার দিকে। এ সময় অপেক্ষারত হাজারো অনুরাগী তাকে ঘিরে ধরেন। তা দেখে উচ্ছ্বসিত কিং খানও তাদের সঙ্গে নানাভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই ঘটনাকে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন বলেছেন অনেকে। কারণ, দেশের অন্য কোনো নায়ক বা নায়িকার ক্ষেত্রে এরকমটা আগে কখনোই ঘটেনি।

তবে শুধু আমজনতা নয়, শাকিব খানের ওই ঘটনা হতবাক করেছে আরেক চিত্রনায়ক নিরব হোসেনকেও। ঘটনাটিকে তিনি ‘বিস্ময়কর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি শাকিব খানকে নিয়ে গর্বের কথাও জানিয়েছেন।     

নিরব লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের কোনো অভিনেতার ক্ষেত্রে যা ঘটেনি আপনার ভক্তরা তাই করে দেখাল! সত্যিই বিস্ময়কর। এ কারণেই আপনি সত্যিকারের সুপারস্টার, আমাদের গর্ব! তাই আপনাকে দেখে সবসময় অনুপ্রাণিত হই। ব্যস্ততার কারণে ঢাকার বাইরে থাকায় আপনার সাথে এখনও দেখা করতে পারিনি। শিগগিরই দেখা হচ্ছে ভাইয়া। আপনার আগামীর দিনগুলোর জন্য শুভকামনা।’

শাকিব খানের চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু ১৯৯৯ সালে। অন্যদিকে, চিত্রনায়ক নিরব হোসেনের সিনেমায় অভিষেক হয় ২০০৯ সালে। বয়স এবং ক্যারিয়ার- দুদিকেই শাকিব খান তার থেকে সিনিয়র। ২০০৯ সালে শাকিব খান অভিনীত ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’ সিনেমাটির মাধ্যমেই নিরবের ফিল্মি ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল।

পরবর্তীতে শাকিব-নিরব একসঙ্গে ‘মনে বড় কষ্ট’, ‘সাহেব নামে গোলাম’, ‘বলো না তুমি আমার’, ‘আই লাভ ইউ’ সিনেমাগুলোতে কাজ করেন। তাই পেশাগত সম্পর্কের বাইরেও দুই নায়কের মধ্যে ব্যক্তিগত জীবনেও খুব ভালো সম্পর্ক। নিরবের ক্যারিয়ার শুরু র‌্যাম্প মডেলিং দিয়ে। তারপর ঢুকে পড়েন নাট্য জগতে। ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করেন চলচ্চিত্রে।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এএইচ)