কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০২২, ১৭:৩৯ | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২২, ১৭:৪২

ছৈয়দ আলম, কক্সবাজার

টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে ছুটে এসেছে হাজারো পর্যটক। শুক্রবার দুপুরে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা যায়, সৈকতের নীল জলরাশি উপভোগে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। আর সৈকতের প্রবেশদ্বারে বালিয়াড়িতে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরছেন অনেক পর্যটক। অনেকে ঘোড়ার পিঠে উঠে ছবি তুলেই আনন্দ খুঁজে নিচ্ছেন। 

এছারা ওয়াটার বাইক বা ঘোড়ায় চড়া নয়, সাগরের নোনাজলে গা ভাসাতে যেন অপার আনন্দ সবার। কেউ ঢেউয়ের সঙ্গে উত্তাল আনন্দে গোসলে মেতেছেন। আর কেউ এই আনন্দ উৎসবের দৃশ্য ধরে রাখতে ছবি তুলছেন।

ঢাকার বনশ্রী থেকে আসা ডাক্তার দম্পতি মারুফ-সালমা ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘কক্সবাজার আমাদের প্রাণের জায়গা। ছুটি পেলে ছুটে আসি পর্যটন শহরে। হালকা বৃষ্টি হলেও কক্সবাজারে অনেক ভালো লাগছে।’ 

ঘোড়ার পিঠে উঠে ছবি তুলছিলেন টাঙ্গাইলের স্বর্ণা। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে আমি প্রথম এসেছি বিচে সমুদ্রস্নান করে অনেক ভালো লেগেছে। এখন থেকে প্রতি বছর সুযোগ পেলে কক্সবাজার চলে আসবো।’

অপরদিকে পর্যটকের উপস্থিতিতে ব্যস্ততা বেড়েছে সৈকতের ঘোড়াওয়ালা ও ফটোগ্রাফারদের। তারা বলছেন, টানা ছুটিতে পর্যটক বেশি আসায় আয়ও বেড়েছে তাদের।

কলাতলী সৈকতের ঘোড়াওয়ালা কাদের বলেন, ‘পর্যটকরা আর আগের মতো ঘোড়ায় চড়েন না। তাই আয় রোজগারও কম। কিন্তু এখন টানা ছুটিতে অনেক পর্যটক এসেছে। অনেকেই ঘোড়ার পিঠে উঠে ঘুরছেন, ছবি তুলছেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২ হাজার টাকার মতো আয় করেছি।’

জেড স্কী চালক রফিক বলেন, ‘সপ্তাহের অন্যান্য দিন ১০ হাজার টাকা আয় করলেও বৃহস্পতিবার ৩০ হাজার টাকা ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা আয় হয়েছে।’ 

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন হাজার হাজারো পর্যটক।

ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক টহলসহ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। 

কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘কক্সবাজারে এই মুহুর্তে হালকা বৃষ্টি হলেও বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটক এসেছে। শুক্র ও শনি যথারীতি পর্যটক থাকে। তবে লোডশেডিংয়ের কারণে পর্যটক ও হোটেল মালিকপক্ষ চরম সমস্যায় রয়েছে। সামনে এরকম হলে হোটেল মালিকরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক উপস্থিতি বাড়ায় বিভিন্ন স্পটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ টিমও কাজ করছে। তাই পর্যটকরা নিরাপদে কক্সবাজার ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পর্যটকরা যেন স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সবসময় মাঠে আছে।’

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এসএম)