ওটিতে লাশ রেখে পালালেন চিকিৎসক

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০২২, ২০:১১

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

প্লানেট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ডাসার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের মা সৈয়দা মাজেদা বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে পাওয়া গেছে।

নিহত মাজেদা বেগম ডাসার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের মা ও ডাসার গ্রামের সৈয়দ নুরুউদ্দীন আহম্মেদের স্ত্রী।

এদিকে রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে রেখেই চিকিৎসক পালিয়ে যান বলে দাবি করেছেন রোগীর স্বজনরা।

শুক্রবার সকালে মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার প্লানেট হাসপাতালের ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটে। 

নিহতের স্বজনরা জানান, ডাসার উপজেলার ডাসার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের মা মাজেদা বেগম গত বৃহস্পতিবার নিজ বাড়ির সিড়ি থেকে নামার সময় পড়ে গিয়ে হাঁটুর জয়েন্টে আঘাত পায়। পরে পরিবারের লোকজন রাতে জেলা শহরের প্লানেট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। এ সময় এক্সরে করানোর পরে দায়িত্ব থাকা চিকিৎসক মহসিনা খান (আইরিন) হাঁটুর অপারেশন করানোর কথা বলেন। পরে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান তারা। সকাল ৯টার দিকে ওই চিকিৎসক রোগীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এসময় চিকিৎসক হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন। নিহতের স্বজনরা রোগীর রিপোর্ট চাইলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় রোগী মারা গেছেন।

নিহত মাজেদা বেগমের ভাইয়ের ছেলে সৈয়দ মুনিম অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের ডাক্তার আইরিনের গাফিলতির কারণেই আমার ফুফুর মৃত্যু হয়েছে। তিনি যদি না পারতেন, তাহলে কেন ফুফুর অপারেশন করালেন। তাও অপারেশন করানোর মাঝেই আমার ফুফুকে ওটি থেকে বের করে দিয়ে বলেন অন্য কোথাও নিয়ে যেতে। ঘটনা ঘটিয়ে সাথে সাথেই তিনি পালিয়ে চলে গেছেন।

মৃত মাজেদা বেগমের বড় ছেলে সৈয়দ আবুল কালাম বলেন, আমার মায়ের রিপোর্ট ভালো ছিল। ডাক্তার আইরিন অপারেশন রুমে নিয়ে অপারেশন কম্পিলিট না করেই চলে যান। তারা তখনো বলেননি আমার মা মারা গেছেন। তারা ২ ঘন্টা পরে অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে ইসিজি করে বলেন তিনি মারা গেছেন। কোনো দায়িত্বশীল লোক এগিয়ে আসেননি। আমার মায়ের মতো এভাবে যেন আর কাউকে মারা যেতে না হয় সরকার আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নজর দেওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কথা বলতে রাজি হয়নি। চিকিৎসকও ঘটনার পর থেকে সরে পড়েন হাসপাতাল থেকে।

সদর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. মুনির আহমেদ খান বলেন, আমি এখনো বিষয়টি শুনিনি। তবে এ ঘটনায় অভিযোগ এলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এলএ)