সিলেটে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আলোচনা

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০২২, ২২:৫৫ | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২২, ২৩:০৯

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা সিরিজের অভিযাত্রায় সিলেটে শুক্রবার  অনুষ্টিত হলো জাতীয় শোকের মাসের আলোচনা অনুষ্ঠান। বিকাল ৪টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘আগস্ট: শোকের মাস , ষড়যন্ত্রের মাস’।  

সম্প্রীতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন শহীদ জায়া শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। আলোচনায় তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনুসরণ না করতে পারলে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে বাহাত্তর এর সংবিধানে বর্ণিত ধর্ম নিরপেক্ষতাকে বিনষ্ট করার ক্ষেত্রে যে অপশক্তি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবিরত ষড়যন্ত্র করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে দল মত ধর্ম বর্ণ নারী পুরুষ নির্বিশেষে বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। শহীদ ডা. আলিম চৌধুরীর স্ত্রী শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী আরো বলেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের মত সংগঠনের পাশে সকল অসাম্প্রদায়িক সংগঠন এবং মানুষের শক্তভাবে দাড়াতে হবে।

সভাপতির ভাষণে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনে অন্যতম উপাদান ছিল মানবকল্যান, সামাজ কল্যান, বাঙালির জয়যাত্রা এবং সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন। একই সাথে বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতি তিনি লালন করতেন তার জীবনাচারে। সম্প্রীতি বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনের এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে ধারণ করে পথ চলা শুরু করেছে এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশের এই পথ চলা ততদিন পর্যন্ত চলবে, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শতভাগ অসাম্প্রদায়িক না করা যাবে। বাংলাদেশের সমাজে সাম্প্রদায়িকতার, ভাতৃত্বের, সকল  প্রকার বৈষম্যের শত্রুকে উপরে ফেলে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক এবং সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্প্রীতি বাংলাদেশ নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির সমাজ গঠনের মাধ্যমেই শোধ হবে পিতৃঋণ। তিনি আরো বলেন জাতির পিতার কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ এবং দর্শন।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল তার সূচনা বক্তব্যে বলেন সিলেট অঞ্চল সম্প্রীতির পিঠস্থান। শত শত বছর ধরে এই অঞ্চলের মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে শ্রদ্ধাশীল। সিলেটের সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত দেশে বিদেশে সবখানেই সুপরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত। সম্প্রীতি বাংলাদেশের কার্যপরিধি সিলেটের মানুষের মাঝে পৌছে দিতে পারাটা সংগঠনের জন্যে একটি বিশাল প্রাপ্তি হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা এবং তরুণ প্রজন্মকে সম্প্রীতি বাংলাদেশের ছায়াতলে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং হাজার বছরের বাঙালির ঐতিহ্যকে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ , সভাপতি , সিলেট মহানগর জেলা আওয়ামী লীগ,  শফিকুর রহমান চৌধুরী , ভারপ্রাপ্ত সভাপতি , সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ, নাসির উদ্দীন খান , সাধারণ সম্পাদক , সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ, অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন , সাধারণ সম্পাদক , সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ ও অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল , সদস্য সচিব , সম্প্রীতি বাংলাদেশ

বক্তারা একমত পোষণ করেন যে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, গণজাগরণ সমানভাবে ঘটাতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাংখিত লক্ষ্যে পৌছানো বাধাগ্রস্ত হবে। গণজাগরণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সম্প্রীতি বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে তারা মত প্রকাশ করেন। সম্প্রীতি বাংলার দৃষ্টান্ত বিশ্বমাঝে তুলে ধরতে পারলে বিশ্ববাসীর যথাযথ উপকার হবে বলে তারা মত প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে ছাত্র, যুব, মহিলা নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় বুদ্ধিজীবী, ধর্মীয় নেতৃ বৃন্দ এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তরুণ প্রজন্মের দর্শক উপস্থিত ছিলেন।–বিজ্ঞপ্তি

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/পিআর)