উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বদলি আতঙ্কে

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০২২, ২৩:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সম্প্রতি নিজ জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিজ জেলার বাইরে বদলির নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এতে বদলি আতঙ্কে রয়েছেন সারাদেশে কর্মরত ১৫ হাজার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

এই আতঙ্ক ও ক্ষোভের কথা জানিয়ে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব আলফাজ উদ্দিন বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিজ জেলার বাইরে বদলির হঠকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে দেশের বিদ্যমান কৃষি উৎপাদন ও উনয়ন ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ হবে। জেলার বাইরে বদলি না করতে কৃষিমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষিমন্ত্রী বদলির বিষয়টি নিয়ে আতংকিত না হওয়ার জন্য বলেছেন। বিষয়টি তিনি বিবেচনা করবেন জানিয়ে আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানান আলফাজ উদ্দিন।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ‘প্রথম শ্রেণির মেডিকেল অফিসাররা নিজ জেলা উপজেলা, এমনকি নিজ ইউনিয়নে চাকরি করছেন। আমাদের জন্যও এই নিয়ম প্রযোজ্য ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে কেনো নিজ জেলা-উপজেলায় কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। আমাদের অযথা হয়রানি করতে বিধিবহির্ভূতভাবে ইতোমধ্যেই অযৌক্তিক বদলির আদেশও জারি করা হয়েছে। এসব কেন, কাদের স্বার্থে করা হচ্ছে? ’

সারাদেশে ১৫ হাজার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা নিজ জেলা-উপজেলায় কর্মরত। সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিজ জেলার বাইরে বদলির আদেশ জারি করে। এ নিয়ে আদেশ জারির পর থেকেই ১৫ হাজার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এই বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে গত ৭ আগস্ট কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের কাছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পক্ষে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার আশ্বাস দেন কৃষিমন্ত্রী। এরপর ১২ দিন কেটে গেলেও সুরাহা হয়নি।

অন্যদিকে কৃষি কর্মকর্তাদের নিজ জেলার বাইরে বদলি না করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসকসহ জনপ্রতিনিধিরা ডিউ লেটার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ও কৃষি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/কেএম)