১৪৫ টাকা মজুরি প্রত্যাখ্যান চা-শ্রমিকদের, মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০২২, ১২:২৫ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২২, ১২:৫১

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন হবিগঞ্জের ২৪টি চা-বাগানের শ্রমিকরা (ছবি: ঢাকাটাইমস)

ধর্মঘটের মুখে ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা মজুরি প্রত্যাখ্যান করে চা-শ্রমিকদের একাংশ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন হবিগঞ্জের ২৪টি চা-বাগানের শ্রমিকরা। এদিন সকাল থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (দুপুর ১১টা ৫১ মিনিট) মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা।

এদিন ১৪৫ টাকা মজুরি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে হবিগঞ্জে ২৪টি চা-বাগানের শ্রমিকরা ১৩তম দিনের মতো কর্মবিরতিতে যায়। 

সকাল থেকে বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জগদিশপুর পয়েন্ট মুক্তিযোদ্বা চত্বরে জড়ো হতে থাকে। তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপুল পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।

এদিকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে সারাদেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকরা অষ্টম দিনের মতো শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করেছেন। তাদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে এর আগে শ্রীমঙ্গলে শ্রম দপ্তরে ও ঢাকায় দু-দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেওয়া হলেও চা শ্রমিকরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে তৃতীয় দফায় চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে শনিবার বিকালে শ্রীমঙ্গলের শ্রম দপ্তরে চা শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকারপক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ টাকা বাড়িয়ে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারিত হয়। এরপর ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল।

তবে এর কিছু সময় পরই বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালি কমিটির সভাপতি ধনা বাউরী ও চা ছাত্র যুবনেতা মোহন রবিদাসের নেতৃত্বে শ্রমিকদের একটি পক্ষ এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ধনা বাউরী ও মোহন রবিদাস শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘শনিবার সভা শুরুর আগে থেকেই পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। পরে পুলিশ আমাদের টর্চার করেছে। চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পালকে দিয়ে ১৪৫ টাকা মজুরি মেনে ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন। আমরা এই সিদ্ধান্ত মানব না। ৩০০ টাকা মজুরি নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

(ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/এসএম)