ঝালকাঠিতে রাজাকারের ছেলে আওয়ামী লীগে, মুক্তিযোদ্ধাদের লিখিত অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২২, ২১:০৯ | প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২২, ২১:০৩

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নে তালিকাভুক্ত রাজাকারপুত্র ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম লালু মৃধাকে আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়ে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাজাকার বা তাদের সন্তানকে দলের সদস্য করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে দলে যুক্ত করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। তারা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও করেছেন।

শুক্তাগড়ের সাবেক চেয়ারম্যান তালিকাভুক্ত রাজাকার মো. হানিফ মৃধার পুত্র লালু মেম্বার আ’লীগে যোগদানের ঘটনায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ছাড়া ইউনিয়ন আ’লীগ নেতাকর্মী, দলীয় ইউপি সদস্যবৃন্দ ও সাধারন মানুষের মধ্যেও বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

এ অবস্থায় রাজাকার পুত্রকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের সুযোগ না দেওয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবরে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএইচ হারুন, গোয়েন্দা সংস্থা ও জেলা উপজেলার সাংবাদিকদের প্রদান করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ ও দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরের বাড়ির এলাকা শুক্তাগড় ইউনিয়নে দীর্গ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দুর্দিনের আওয়ামী লীগ শক্তিশালী অবস্থানে এসেছে।

গত (৩১ জুলাই) রবিবার শুক্তাগড় আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ উপলক্ষে কেওতা গিগরা ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে এক সভায় রাজাকার পুত্র লালু মেম্বার আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক মৃধা জানায়, ইতোপূর্বে ২০১৬ সালে লালু মেম্বার আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান পদ লাভ করে। এর ১ বছর পর পুনরায় ডিগবাজী দিয়ে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছে। এখন পিতার নাম রাজাকারের তালিকায় অন্তভুক্ত হওয়ায় সে পিঠ বাঁচাতে আওয়ামী লীগে যোগদানের নাটক করছে।

এ বিষয়ে শুক্তাগড় ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান, মহিলা ইউপি সদস্য এড. লাভলী বেগম, ইউপি সদস্য আসাদুল, ইউপি সদস্য নুরালম মল্লিক ও সাবেক ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগসহ সভাপতি আ. রব হাওলাদার জানান, লালু মেম্বার বিএনপি নেতা ও তার পিতা তালিকাভুক্ত রাজাকার যা ইউনিয়নের সবাই জানে। তিনি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগে যোগদান করলেও স্বার্থসিদ্ধ হলে বা আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই কেটে পড়বে এটা নিশ্চিত বলে তারা দাবি করেন।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহআলম সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। যেহেতু ঘটনাটি রাজাপুরের তাই স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :