শিশু টিকাদান শুরু, নিবন্ধনের অতিরিক্ত ভিড়ে বিশৃঙ্খলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট ২০২২, ১৭:২১

রাজধানীসহ সারা দেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে চলছে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম। প্রথম ধাপে আজ বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই টিকাদান চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। আজ প্রথম দিন টিকার জন্য নিবন্ধনের অতিরিক্ত শিশু কেন্দ্রে আসায় বাড়তি চাপে কোথাও কোথাও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

আজ সকাল ৯টায় রাজধানীর নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

শিক্ষার্থীরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা কার্ড নিয়ে এসে টিকা নিতে পারবে। এ কার্যক্রমে রেড ক্রিসেন্ট ও ব্রাকের স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন।

এই কার্যক্রমে শিশুদের ফাইজারের তৈরি বিশেষ করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ বয়সী প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ শিশু রয়েছে। দুই মাস পর শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের টিকাদান।

রাজধানীর টিকাকেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই শিশু ও তাদের অভিভাবকদের ভিড় দেখা গেছে। অতিরিক্ত চাপ সামলাতে বেগ পেতে হয় টিকা কার্যক্রম পরিচালনাকারীদের। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের।

এই কার্যক্রমের আওতায় স্কুলপড়ুয়া প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পথশিশু ও বিদ্যালয়ে যায় না এমন শিশুদেরও নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। সারাদেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ১৮৬টি কেন্দ্রে আজ পরীক্ষামূলকভাবে শিশুদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

কয়েকটি কেন্দ্রে দেখা গেছে, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা হুড়োহুড়ি করে কেন্দ্রে প্রবেশ করছে। শিশু স্কাউটের সদস্য ও শিক্ষকরা চেষ্টা করেও ফেরাতে পারছিলেন না। দম ফেলার সময় পাচ্ছিলেন না প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্বপালনকারী একজন মেডিকেল কর্মকর্তা ও দুজন স্বাস্থ্যকর্মী। সকাল থেকেই টিকা প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন পড়ে।

মহাখালী আব্দুল হামিদ দর্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ২ হাজার ৩৯০ জন। তাদের একটি অংশ টিকা নেওয়ার উপযোগী। প্রধান শিক্ষক শাহীনা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘বাইরে থেকে টিকা নিতে এসেছে প্রায় ৮০০ জন। তাদের সঙ্গে অভিভাবক রয়েছেন। ফলে তিন হাজারের বেশি লোক একত্র হওয়ায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’

স্কুলটিতে টিকাকেন্দ্র হওয়ার কথা হঠাৎ জানানো হয়েছে। দুটি ক্লাসরুম টিকাদানের জন্য প্রস্তুত করলেও একটি রুমেই সবাইকে টিকা দিতে হচ্ছে। এতে কিছুটা জটলা তৈরি হয়েছে। এখানে কেন্দ্র হবে তা আগে জানালে এ সমস্যা হতো না বলে জানান প্রধান শিক্ষিকা।

ঢাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রাফি বলেন, ‘নিবন্ধনের ভিত্তিতে প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক গড়ে ৩০০ ডোজ টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রে ধারণার চেয়েও বেশি শিশু টিকা নিতে এসেছে। আমরা সবাইকে টিকা দিতে পারব। অতিরিক্ত টিকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় বেশি লাগবে।’

গত এপ্রিলে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরি করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/আরআর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

করোনাভাইরাস বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা