রোহিঙ্গাদের ফেরানো খুব সহজ নয়: ব্রিটিশ হাইকমিশনার

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০২২, ২১:২৪ | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২২, ০০:০৪

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে মিয়ানমারে ফেরানো খুব সহজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।

তবে বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারের ওপর হস্তক্ষেপ করলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

 

বৃহস্পতিবার চাঁদপুর পৌরসভায় শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের দুই দিনব্যাপী পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

 

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী কয়েক মাস গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আসে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। সর্বাত্মক চেষ্টা করেও গত পাঁচ বছরে সরকার একজন রোহিঙ্গাকেও নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে পারেনি। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বারবার আশ্বাস দিলেও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে নানা টালবাহানা করছে।

ইতোমধ্যে দেশটিতে শাসন ফিরে আসায় প্রত্যাবাসনের আলোচনাও অনেকটা থমকে আছে। এই অবস্থায় লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। কক্সবাজারের জনজীবনে কিছুটা চাপ কমাতে এক লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ায় পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার আরো বলেন, আজ রোহিঙ্গা ট্রাজেডির পঞ্চম বর্ষপূর্তি। রোহিঙ্গারা অনেক ভাগ্যবান। যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছিল তখন এদেশের সরকারের কাছ থেকে অভূতপূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে। রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

 

এটি খুব সহজ নয় যে, এত তাড়াতাড়ি বিষয়টি সমাধান হবে। এজন্য একত্রে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। ডিকসন বলেন, রোহিঙ্গারা যদি চায়, তা হলে তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে দিতে চাই। আমরা যখনই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবো তখনই তাদেরকে দেশে ফিরে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

যদি তারা এদেশেই থাকতে চায় তাহলে স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে ক্যাম্পে অবশ্যই তাদের স্বাভাবিক জীবনমান ও রোহিঙ্গা শিশুদের লেখাপড়াসহ সার্বিক বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এর আগে চাঁদপুর পৌরসভার দুই দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়কৃত কাজ মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, ইউএনডিপির ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি বেন গুয়েন ও যুগ্ম সচিব মো. মাসুম পাটোয়ারী।

 

(ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/এআর)