শোকের মাসে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে কমিটি দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী!

প্রকাশ | ২৮ আগস্ট ২০২২, ২১:৩১ | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২২, ২১:৪৭

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

শোকের মাস আগস্টে জাতির পিতার নিজ হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাসব্যাপী নানান কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। এই মাসে আওয়ামী লীগের যেকোনো সাংগঠনিক কাজ করতে নিষেধ রয়েছে। কিন্তু মানিকগঞ্জে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিভিন্ন ইউনিয়নে কমিটি দিচ্ছেন। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নিন্দাও জানাচ্ছেন তারা।

গত ২৭ আগস্ট স্বাস্থমনীর নির্বাচনী এলাকা সাটুরিয়ার হরগজ ইউনিয়নে ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহিদ মালেক।

এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, সহ সভাপতি আবদুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলসহ সাটুরিয়া উপজেলার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে জাহিদ মালেকের একক ইচ্ছায় আদম আলীকে সভাপতি ও আলী হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার সদর উপজেলার দিঘি ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে আবদুল ওহাবকে সভাপতি এবং মাসুদ মেম্বারকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এই ঘটনায় মানিকগঞ্জের বিভিন্ন নেতা, সচেতন মহল এবং সাধারণ মানুষের মনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যায়ের অনেক নেতা। সচেতন মহলও এ নিয়ে নিন্দা জানান।

নেতাকর্মীরা বলছেন, যেকোনো সংগঠনে কমিটি ঘোষণার সময় অনেকে পদ পেয়ে উচ্ছ্বসিত হন, আর কেউ না পেয়ে মর্মাহত হন। সব সংগঠনের বেলাতেই এটি দেখা যায়। এ জন্যই শোকের মাসে সম্মেলন ও কমিটি ঘোষণার বিষয়ে নিষেধ করেছে কেন্দ্র। শুধু শোক দিবসের অনুষ্ঠানের দিকে জোর দিতে বলা হয়। কিন্তু মানিকগঞ্জে তা মানেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। শোকের মাসে এ রকম সংগঠনের বিরুদ্ধাচরণকে মানিকগঞ্জ ও সাটুরিয়ার নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাটুরিয়ার এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমরা হতাশ হয়েছি। যে মাসে আমরা বঙ্গবন্ধু এবং তার আদর্শকে অনুধাবন করব, সে মাসে কমিটি দিচ্ছেন আমাদের এলাকার এমপি। 

এদিকে অভিযোগ আছে, সাটুরিয়া-মানিকগঞ্জে কাজের মূল্যায়ন না করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ইশারায় সব কমিটি হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে দালালদের মাধ্যমে কমিটি-বাণিজ্য, নিয়োগ-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি সহ সব অপকর্ম হয়।

এ নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, এলাকার সাধারণ নেতাকর্মীরা অসহায়।

(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/ইএস/মোআ)