বিক্ষোভ-সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে তোপে ভোলা ছাড়লেন বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহীম

প্রকাশ | ২৯ আগস্ট ২০২২, ১৩:৩০ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২২, ১৩:৩৬

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ভোলায় রবিবার রাতে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহীমের অবস্থানস্থল হোটেল প্যাপিলনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে এসে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বাধার মুখে ভোলা ছাড়লেন সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহীম।

রবিবার রাত ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবরোধের মুখে পুলিশি পাহারায় ভোলা ছাড়েন তিনি।

এর আগে রাত ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাফিজ ইব্রাহীমের অবস্থানস্থল হোটেল প্যাপিলনের সামনে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলকারীরা হাফিজ ইব্রাহীমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তাকে ভোলা ছাড়তে আলটিমেটাম দেন।

এসময় আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক আরজু বলেন, ‘২০০১ সালে হাফিজ ইব্রাহীম এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় আবারও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ভোলায় আসছেন। পরিবেশ শান্ত রাখতে আমরা ভোলা থেকে তার চলে যাওয়ার দাবিতে হোটেলের সামনে অবস্থান নিয়েছি।’

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, হাফিজ ইব্রাহীম বিএনপির আমলে ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানের মানুষকে অনেক নির্যাতন করেছেন। আজ তিনি ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে কটূক্তি করছেন। তোফায়েল আহমেদ শুধু ভোলার নেতা নন, তিনি বাংলাদেশের জাতীয় নেতা। আমরা এ কটূক্তির তীব্র নিন্দা জনাই।’

তারা আধা ঘণ্টার মধ্যে হাফিজ ইব্রাহিমকে ভোলা ছাড়তে আলটিমেটাম দেন।
পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হোটেলের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়ে পুলিশি পাহারায় হাফিজ ইব্রাহীমকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট দিয়ে ঢাকাগামী লঞ্চে উঠিয়ে দেয়া হয়।

দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার সকালে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে শনিবার রাতে ভোলায় আসেন হাফিজ ইব্রাহীম। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে ভোলা থেকে বোরহানউদ্দিনে যাওয়ার পথে শহরের যুগীরঘোল এলাকায় পুলিশি বাধার মুখে ফিরে আসেন। পরে তিনি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও দলীয় কর্মসূচিতে বাধার অভিযোগ করেন।

জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘জনগণের অধিকার নিয়ে বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। আর এ কর্মসূচিতে সরকার পুলিশ দিয়ে বাধা দিচ্ছে। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের আচরণ হতে পারে না। সকল রাজনৈতিক দলের দাবি আদায়ে মাঠে আন্দোলন সংগ্রাম করার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। আর সরকার এ গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ দিয়ে হাফিজ ইব্রাহীমকে ঢাকার লঞ্চে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/এফএ)