স্বামীর অধিকার পেতে ৫ দিন ধরে স্ত্রীর অনশন
স্ত্রীর অধিকার পেতে মোছা. রেহেনা আক্তার (২০) নামে এক নারী জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ৪নং চর এলাকায় তার স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর অধিকার আদায়ে অবস্থান নিয়ে অনশনে বসেছেন।
শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকেই উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের ৪নং চর এলাকায় রেহানা আব্দুল মজিদ দপ্তরীর ছেলে মো. নাজমুল মিয়ার ( ২৩) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।
অনশনে বসা ওই নারী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের হামিদুর রহমানের মেয়ে রেহেনা আক্তার।
এদিকে বাড়িতে অবস্থানের পর পরই রেহেনার সাথে থাকা তার খালাতে বোনের কাছ থেকে টেনে হেচড়ে শারীরিক নির্যাতন করে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মোবাইলে থাকা সকল প্রমাণাদি ও যোগাযোগের নাম্বার ডিলেট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে
শ্ব্শুর মজিদ দপ্তরি রেহেনার মামা শ্বশুর ৪নং চর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক হুমায়ুন কবীর, ও তার স্বামীর খালাতো ভাই বিজিবি সদস্য শাকিলের বিরুদ্ধে।
রেহেনা আক্তার জানান, গত ৭-৮ বছর আগে আমার প্রেমিক নাজমুল তার এলাকায় একটি মামলার আসামি হয়েছে আমাদের গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসে। সেখান থেকে তার সাথে আমার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আমার বাড়িতে আমার বিয়ের প্রস্তাব এলে নাজমুল আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিয়ে ভেঙে দেয়। ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর নোটারি পাবলিকের তিন লাখ টাকা মোহরানায় বিয়ে হয়। বিয়ের পরে নাজমুলের সঙ্গে পাঁচ মাস গাজীপুরে একটি বাসায় সংসার করি। তখন নাজমুল চাকরির কথা বলে আমার পরিবারের কাছ থেকে মোট আড়াই লাখ টাকা নেয়। আমাকে মিথ্যা কথা বলে টাকা নিয়ে সে বিদেশে চলে যায়।
রেহানা বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে না পেয়ে একাধিকবার তার বাড়িতে আসলে আমার শ্বশুর এবং মামা হুমায়ুন মাস্টারসহ এলাকার লোকজন মীমাংসার কথা বলে আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমি কোনো সুরাহা না পেয়ে আবার তার বাড়িতে এসেছি। আমি আমার স্বামীর অধিকার চাই।’
এ বিষয়ে স্থানীয় মাতব্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোহাম্মদ পারুল বলেন, মেয়েটি আমার কাছে একাধিক বার এসেছে। আমি বার বার মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি ছেলের পরিবার থেকে মীমাংসা হয় নাই।
এ বিষয়ে নাজমুল এর বাবা আব্দুল মজিদ ও মামা হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে ডিক্রিরচর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এজিএম মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। যদি মেয়েটি অভিযোগ দেয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/এআর)