২০০৫ সালে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল
২০০৫ সালে চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে নিয়োগ হওয়ার পর বিতর্কের মধ্যে মূল্যায়ন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ। এর ফলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন আর চাকরি ফেরত পাচ্ছেন না।
আদালতে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। আর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, প্রবীর নিয়োগী, সালাহ উদ্দিন দোলন ও কামরুল হক সিদ্দিকী চাকরিচ্যুত নির্বাচন কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চারদলীয় জোট সরকারের সময় সরকারি কর্ম কমিশন—পিএসসির মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়।
তাদের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয় এই কর্মকর্তাদের। মূল্যায়ন পরীক্ষার পর তাদের মধ্যে অনুত্তীর্ণ ৮৫ জনকে একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল রায় দেয়। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল ওই আপিল মঞ্জুর করে ৮৫ জনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে রায় দেয় প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল।
প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকার পক্ষ পৃথক আপিল করে। রাষ্ট্রপক্ষের করা ওই আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয় গত ২৮ আগস্ট। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল আদেশ বাতিল করে রায় দিল আপিল বিভাগ।
(ঢাকাটাইমস/০১সেপ্টেম্বর/ডিএম)