শিক্ষকদের আতঙ্ক অফিস সহকারী সেই দুলাল বাবু বরখাস্ত

প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:২১

বরগুনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী দুলাল কৃষ্ণ মালাকার ওরফে দুলাল বাবুকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (৩১ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এম এম মিজানুর রহমান।

মুঠোফোনে তিনি জানান, সোমবার (২৯ আগস্ট) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মুহিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বরখাস্তের তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী দুলাল কৃষ্ণ মালাকার ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস বরগুনা কর্তৃক ইস্যুকৃত বিভিন্ন খাতের আটচল্লিশটি ঢেকে মোট বরাদ্দকৃত প্রায় এক কোটি ৫৮ লাখ ২১ হাজার ৫০১ টাকার চেক ব্যাংকের নির্ধারিত (২৬ জুলাই ২০২২) সময়ের মধ্যে জমা দিতে ব্যর্থ হন এবং চেকগুলো তিনি নিজস্ব ড্রয়ারে ফেলে রাখার ফলে উক্ত চেকগুলো তামাদি হয়ে যায়। এতে করে শিক্ষকরা তাদের বকেয়া ও শ্রাপ্তি বিনোদন ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরগুনা কর্তৃক তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। এসব কর্মকাণ্ড তার দায়িত্ব কর্তব্যে চরম অবহেলা এবং অসদাচরণের শামিল। এমতাবস্থায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) মোতাবেক তাকে (দুলাল কৃষ্ণ মালাকার) সরকারি চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

আদেশে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

দুলাল বাবুর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ:

বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মচারী দুলাল বাবু। ঘুস ছাড়া কথাই বলেন না তিনি। এমনকি ১০টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। আর ঘুসের টাকা আদায়ের হিসাব-নিকাশ রাখতে টেবিলের ড্রয়ারে টালিখাতাও আছে তার।  এমনই দাপুটে এই কর্মচারী- উপজেলার সব প্রাথমিক শিক্ষক, এমনকি শিক্ষা কর্মকর্তা পর্যন্ত জিম্মি তার কাছে। দুলাল বাবু নাখোশ তো শিক্ষকরা হয়রানির শিকার। বিল ভাতা পেয়ে হয়রানি থেকে শুরু করে বদলি পর্যন্ত এই দুলালের হাত রয়েছে- এমনই অভিযোগ শিক্ষকদের।

৩০ জুলাই বরগুনা সদর উপজেলার ৪১ জন শিক্ষক একযোগে সু-নির্দৃষ্ট এমন ছয়টি লিখিত অভিযোগ দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। পরে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১সেপ্টেম্বর/এআর)