জেলা পরিষদ নির্বাচন

আ.লীগের মনোনয়ন পেতে মহারাজের পক্ষে ভোটারদের জোট

পিরোজপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:১১ | প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:৫৩

পিরোজপুর জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে লিখিতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন পরিষদের ৭৪৭ জন ভোটারের মধ্যে ৭০৪ জন। আসন্ন নির্বাচনে মহারাজকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিতে এক জোট হয়েছেন ভোটাররা। তারা দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে সাক্ষর সম্বলিত একটি বই পাঠিয়েছেন বলেও জানা যায়।

নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তাদের প্রত্যক্ষ ভোটেই নির্বাচিত হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

এদিকে ৭টি উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে পিরোজপুর। সেখানে জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৭৪৭ জন। এরমধ্যে ৭০৪ জন ভোটারই বর্তমান প্রশাসক মো. মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে লিখিত সমর্থন জানিয়েছেন।

পিরোজপুর-১ সদর আসনের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদে ৯টি ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি আছে ১২০ জন। এই উপজেলার সকল ভোটার তার পক্ষে স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন।

নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদে ইউনিয়ন ১০টি ও ১টি পৌরসভা। যেখানে মোট ভোটার সংখ্যা-১৪৬। যার মধ্যে মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন ১৪০ জন। পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদে ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১০৭ জন ভোটারের মধ্যে স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন করেছেন ৭৯ জন। পিরোজপুর-২ আসন ভান্ডারিয়া সদর উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৯২ জন ভোটারের সকলেই সমর্থন করেছেন তাকে।

কাউখালী ও ইন্দুরকানী উপজেলায় ৫টি করে ইউনিয়নের ৬৮ জন করে ভোটারের সকলেই স্বাক্ষর দিয়ে মহিউদ্দিন মহারাজকে সমর্থন জানিয়েছেন। এছাড়া পিরোজপুর-৩ আসন, মঠবাড়িয়া উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নের ১৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৩৭ জনই স্বাক্ষর দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন মহারাজকে। মঠবাড়িয়া পৌরসভা থাকলেও সর্বশেষ সংশোধনীয় আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক পৌর পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ায় এখানের ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় আনা হয়নি।

লিখিত সমর্থন দেয়া বইটিতে দেখা যায়, পিরোজপুর সদর উপজেলার ২৮ জন, নাজিরপুরের ৬ জন ও মঠবাড়িয়া উপজেলার ৯ জন ছাড়া বাকি ৯৪.২৫ শতাংশ ভোটারই মহিউদ্দিন মহারাজের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।

এদিকে লিখিতভাবে সমর্থনের পাশাপাশি মহিউদ্দিন মহারাজকে পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান-এমন প্রত্যাশা জানিয়ে বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা তার পক্ষে ব্যানার, পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

কেন লিখিতভাবে আগেই সমর্থন জানালেন এমন প্রশ্ন করা হলে নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা অমূল রঞ্জন হালদার বলেন, শুধু জনপ্রতিনিধি না, যে কেউ কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে মহারাজ তা সমাধান করে দেন। তাই তাকে সমর্থন দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন তারা।

কাউখালি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টি (জেপি)-র সভাপতি বলেন, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যে কোনো বরাদ্দ বা উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব এ বিষয়টিই তারা মহিউদ্দিন মহারাজ চেয়ারম্যান হওয়ার আগে জানতেন না।

পিরোজপুর সদরের তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজীদ হোসেন বলেন, মহিউদ্দিন মহারাজের কোনো বিকল্প না থাকায় তারা আগাম তাকে লিখিতভাবে সমর্থন দিয়েছেন।

মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান রাহাত বলেন, তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর সকল জনপ্রতিনিধিদের বিভক্তি দূর করে একটি ছাতার নিচে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তাই মহিউদ্দিন মহারাজকে দলীয় সমর্থন দেওয়ার জন্য তারা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন।

অগ্রিম সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটারদের (জনপ্রতিনিধি) কাছ থেকে এমন ভালোবাসা ও স্বীকৃতি পাওয়া নিশ্চয়ই তার জন্য সৌভাগ্যের। দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি সবসময়ই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করেছেন বলে জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পিরোজপুরের সকল ইউনিয়নের গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত করার চেষ্টা করেছি। আগামী নির্বাচনে জেলা চেয়ারম্যান হতে পারলে তিনি পিরোজপুরকে দেশের মধ্যে মডেল জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

(ঢাকাটাইমস/০২সেপ্টেম্বর/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :