দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ভাঙ্গা-ঢাকা রেলপথের কাজ

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:১৮ | প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:৪৪

স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে এখন রেল চলাচলের অপেক্ষায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। সেই লক্ষেই দ্রুত গতিতে এই রেল সংযোগের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের আশা পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল এই অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে। পরিবর্তন হবে আর্থ-সামাজিক অবস্থা।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে পদ্মা সেতু লিংক রেলওয়ের (ফরিদপুরের ভাঙ্গা প্রান্তের রেলওয়ে) জংশন ও রেললাইনের কাজ। দেশি–বিদেশি প্রকৌশলীরা সার্বক্ষণিক এ কাজে তদারকি করছেন। কেউ স্টেশন নির্মাণ আবার কেউ রেল স্লিপার স্থাপনের কাজে সময় পার করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, লাইনে বিশেষভাবে তৈরি কংক্রিট স্লিপার। আর দুপাশে থাকছে স্টিলের রেলপাত। রড, স্লিপার ও পাত স্থাপনের পর দেওয়া হচ্ছে ঢালাই।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারে ২০টি জংশন স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ফরিদপুর অংশে ভাঙ্গা থেকে জাজিরা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। এ পথে স্লিপার স্থাপনের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে। এ লক্ষ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ সমাপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে রেল সংযোগকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসায়ী, কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ। আর এ জন্য দিন দিন বাড়তে শুরু করছে কৃষি জমির দর।

এই প্রকল্প বিষয়ে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে আলাপ হয়। তারা জানান, আমরা পদ্মা সেতুর মতো বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করছি। কারণ রেল সংযোগ হয়ে গেলে এ অঞ্চলে গড়ে উঠবে মিলকারখানা, এতে বেকারদের কর্মস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। অবহেলিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন হবে।

ভাঙ্গা কলেজের শিক্ষক মিজানুর রহমান ও ব্যবসায়ী শামিম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল উন্নয়নে অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু ও রেল সংযোগ স্থাপন করে সেই ঘাটতি দূর করে দিয়েছে।

ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, ‘এই রেল যোগাযোগের কারণে মোংলা ও পায়রা বন্দরের পণ্য ভাঙ্গা হয়ে রাজধানীতে সহজেই যেতে পারবে। এতে দেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে যাবে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়তো শেষ হবে’।

ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্চের প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে রেল সড়ক চালুর মধ্যে দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। ফরিদপুর অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে, এটার মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ সামাজিক বিপ্লব ঘটবে’।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মিন্টু হোসেন বলেন, ‘ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭২ কিলোমিটারের ২০টি জংশন স্থাপনের কাজ চলছে। এর মধ্যে ফরিদপুর অংশে ভাঙ্গা থেকে জাজিরা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য চেষ্টা করে চলছি। এ প্রকল্পে দেশি ও বিদেশি অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা সার্বক্ষণিক কাজের তদারকি করছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৪সেপ্টেম্বর/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :