রাঙামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতালের ডাক পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের

রাঙামাটি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:৪৭ | প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:৩২
ছবি: সংগৃহীত

পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে রাঙামাটি জেলা শহরে ৩২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ । মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি শহর এলাকায় এ হরতাল পালিত হবে।

হরতাল চলাকালে রাঙামাটি জেলায় সড়ক ও নৌপথে কোনো প্রকার যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না।

সোমবার সকালে শহরের বনরুপার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী মজিবুর রহমান এ হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

এ সময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর জামান ডালিম, যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম রানা, রাঙামাটি জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসমা মল্লিক, সাংগঠনিক সম্পাদক লাভলী আক্তারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দীর্ঘদিন পর রাঙামাটিতে আহূত হরতাল ঘিরে জনমনে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন নিয়ে আমাদের অনেক দাবি-দাওয়া ছিল। এসব দাবি নিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করি। কিন্তু আমাদের দাবি উপেক্ষা করে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে কমিশনের সভা আহবান করা হয়েছে। তাই ওই সভা প্রতিহত করতে এবং এ কমিশন আইন বাতিলসহ আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিতে মঙ্গলবার সকাল ৬ট হতে বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত রাঙামাটি জেলায় সর্বাত্মক হরতাল আহবান করা হচ্ছে।

দাবি-দাওয়া তুলে ধরে তিনি বলেন, পার্বত্য ভূমি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সব জাতিগোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে। কমিশনের কাজ শুরু করা আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জরিপ সম্পন্ন করতে হবে। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির ওপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন-২০১৬ এর ধারাগুলো বাতিল করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের মতো জেলা প্রশাসকদের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দিতে হবে।

কমিশনের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারণে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাসজমিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এসব দাবি-দাওয়া নিশ্চিত করতে পার্বত্য ভূমি কমিশনের বিদ্যমান আইন বাতিল করে তার সংশোধনী আনতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতা কাজী মজিবুর রহমান বলেন, পার্বত্য ভূমি কমিশনে বাঙালির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। সাংগঠনিক কাঠামো, সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগেও উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা আছে। কাজেই এ কমিশন যখন যা সিদ্ধান্ত নেবে- সেটা উপজাতীয়দের পক্ষেই যাবে। এ অবস্থায় বাঙালিরা জমি হারিয়ে পথে বসতে বাধ্য হবে। পাহাড়ি বাঙালি সব সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

(ঢাকাটাইমস/৫ সেপ্টেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :