স্ত্রীকে হত্যার পর ১৬ বছর পলাতক, যেভাবে ধরল র‌্যাব

প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:১৪ | আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মগোপনে ছিলেন ১৬ বছর। এরমধ্যে আরেকটি বিয়েও করেন। সেই সংসারে সন্তানও আছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এই আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে দুই মাস আগে। এরপরই তাকে ধরতে অভিযানে নামে র‌্যাব। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয় বাহিনীটি।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

র‍্যাব-৩ অধিনায়ক জানান, ২০০৬ সালে বগুড়ার কৈচড় দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল প্রামাণিকের সঙ্গে আলো বেগমের বিয়ে হয়। এসময় উজ্জ্বলকে নগদ ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয়। বিয়ের পর বিদেশ যাওয়ার জন্য স্ত্রীর কাছে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিল সে। সেই টাকা আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উজ্জ্বল প্রামাণিক ও তার পরিবার আলো বেগমকে তালাক দেবে বলে ভয় দেখাতে থাকে। আবার আলোকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হতো। একইবছরের ১ আগস্ট উজ্জ্বলের আত্মীয়রা আলোর পরিবারকে জানায় তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। পরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়- ঘরের মেঝেতে আলোর মরদেহ পরে আছে। এ ঘটনায় উজ্জ্বলকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়।

 

চলতি বছরের ২৪ জুলাই তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে মামলায় চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর উজ্জ্বল প্রামাণিক তার মা আলেয়াকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় এসে পরিচয় গোপন রেখে বসবাস শুরু করেন। ছয়মাস পর নাছিমা খাতুন নামে একজনকে বিয়ে করে গাজীপুরে বসবাস করে আসছিলেন। তাদের ১০ বছর ও তিন বছর বয়সী দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। উজ্জ্বল পালিয়ে আসার পর বগুড়ায় নিজ বাড়ি ও স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছিলেন। কিছুদিন আগে এক আত্মীয়র মাধ্যমে জানতে পারেন, তার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা হয়েছে। এরপর থেকে তিনি আশুলিয়ায় সপরিবারে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।

ঢাকাটাইমস/০৭সেপ্টেম্বর/এসএস/ইএস