গোবিন্দগঞ্জে ভাঙন আতঙ্কে বাঙালি নদী পারের মানুষ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:০৮

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পারসোনাইডাঙ্গা গ্রামে চলাচলের একমাত্র সড়ক বাঙালি নদীর কড়াল গ্রাসে বিলীন হবার পথে। সেই সাথে ভাঙনের মুখে রয়েছে ১০৫ বসতঘর, ২টি মসজিদ, কবরস্থান ও একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অসময়ে নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে কাটছে নদী পারের মানুষদের।

২৩ জুন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (উত্তর অঞ্চল) আমিনুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি টিম ভাঙনকবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন এবং জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে উপস্থিত বাসিন্দাদের নিশ্চিত করলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

পারসোনাইডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ২০১৫ সালে গ্রামের নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন রোধের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতি বছর ভাঙন অব্যাহত থাকায় গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি নদীগর্ভে চলে যাবার পথে। অব্যাহত ভাঙনে গত বছর চারটি বসতঘরও চলে যায় নদীগর্ভে। সেই সাথে গ্রামের শতাধিক নারিকেল গাছ সুপারি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রাস্তাসহ পুরো গ্রাম নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের অধিকাংশ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় গ্রামবাসী চলাচল করছেন অন্যের বাড়িঘরের উঠানের ওপর দিয়ে। এবার বর্ষার শুরুতেই ভাঙন শুরু হওয়ায় ১০ থেকে ১৫টি বাড়িঘরের উঠান ইতিমধ্যে বিলীন হবার পথে। যেকোনো মুহূর্তে বাড়িগুলো ভেসে যেতে পারে উত্তাল বাঙালি নদীর প্রবল স্রোতে।

পারসোনাইডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মাছুদ মিয়া বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির সময় পুরো গ্রামের লোকজন যেমন আতঙ্কে থাকে পানি কমার সময়ও ঠিক তেমনি আতঙ্কে থাকি আমরা।

আব্বাস নামে আরেক বাসিন্দা জানান, গ্রামে ২০০/২৫০টি পরিবারের বসবাস। ইতোমধ্যে চার পরিবারের ঘর বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। তারা গুচ্ছ গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে পানি বৃদ্ধির ফলে যেভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে, তা জরুরিভাবে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গ্রামের আরও অনেক বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান ঢাকাটাইমসকে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এলাকাটি পরিদর্শন করে আসলেও আমাদেরকে কোন নির্দেশনা দেননি। বিষয়টি আমরা আবারও জানাব যদি কোন নির্দেশনা পাই- অবশ্যই আমরা নদী ভাঙন রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান ঢাকাটাইমসকে মুঠোফোন বলেন, এ বছরের জুনে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (উত্তর অঞ্চল) কে টেলিফোনে বিষয়টি অবগত করি। তারপর তিনি একটি টিম নিয়ে নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। নদী ভাঙন রোধে আমি সবসময় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। আশা করি, দ্রুত বাঙালি নদী ঘেঁষে পারসোনাইডাঙ্গা গ্রামটি রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

(ঢাকাটাইমস/০৭সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :