শিক্ষিকা মুনাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা, স্বামী কারাগারে

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:২১

কুমিল্লায় রান্নাঘরে আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া সেই কলেজ শিক্ষিকা মুনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার তিন দিন পর শিক্ষিকা তাহমিনা আক্তার মুনাকে (৩২) পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগে বুধবার রাতে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামল দায়ের করেন মুনার ভগ্নিপতি তারেকুল ইসলাম। তারেকুল কুমিল্লা নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটরা এলাকার বাসিন্দা। মামলার একমাত্র আসামি মুনার স্বামী সুমন সালাহউদ্দিন।

সুমন সালাহউদ্দিন বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

৩২ বছর বয়সী তাহমিনা আক্তার মুনা কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার নবীয়াবাদ এলাকার কুমিল্লা মডেল কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। গত ২৯ অগাস্ট রাতে নগরীর রেইসকোর্সের ভাড়া বাসায় আগুনে তার শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়।

তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার তার মৃত্যু হয়।

সুমন সালাহউদ্দিন বলেছিলেন, জানালা বন্ধ থাকায় রান্নাঘরে গ্যাস জমে গিয়েছিল, মুনা চুলা ধরাতে গেলে হঠাৎ ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি নিজেও আহত হন।

তবে মামলার বাদী তারেকুল ইসলামের ভাষ্য, ২০১৭ সালে প্রেম করে বিয়ের সময় থেকেই সুমন ‘বেকার’জীবন যাপন করে আসছিলেন। প্রায়ই ‘যৌতুকের দাবিতে মুনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন’করতেন তিনি।

‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুনা তার পরিবারের লোকজনকে বলে গেছে, ঘটনার দিন মুনার শরীরে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে সুমন সালাহউদ্দিন। এরপর সুমন প্রচার করতে থাকে, রান্নাঘরে গ্যাসের আগুনে পুড়ে মারা গেছে মুনা। আমরা তার ফাঁসি চাই।’

বুধবার রাতে মামলা হওয়ার পর সুমন সালাহউদ্দিন দাবি করেন, প্রেম করে বিয়ের পর থেকে মুনার পরিবার তাদের মেনে নিতে পারেনি, সে কারণে তারা ‘মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে’ প্রতিশোধ নিতে চাইছে।

মুনা কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাথুরিয়াপাড়া এলাকার মো. ইউনুস মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী সুমন সালাহউদ্দিন নাট্যকর্মী ও আবৃত্তি শিল্পী, গ্রামের বাড়ি চান্দিনা উপজেলার হারংয়ে। ২ বছর ৩ মাস বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে তাদের।

সুমন সালাহউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হানিফ সরকার বলেন, তদন্তের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছি। তবে আদালত থেকে এখনও রিমান্ড শুনানির সময় জানানো হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :