আবার বাড়ছে সংক্রমণ, শনাক্তের হার আটের ওপরে

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। গত এক দিনে শনাক্ত হয়েছেন ২৭৮ জন, যাতে শনাক্তের হার ৮.৩৪ শতাংশ। এক দিন আগে এ হার ছিল ৭.৪০ শতাংশ। 

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।  এ নিয়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ হাজার ৩৩১ জনে।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় গত তিন চার দিনে শনাক্তের হার প্রায় চার শতাংশ বেড়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর শনাক্তের হার ছিল ৬.৯৩ শতাংশ। ৬ সেপ্টেম্বর শনাক্তের হার ছিল ৬.৭১ শতাংশ। ৫ সেপ্টেম্বর শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ৪ সেপ্টেম্বর শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

মহামারি শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৪ হাজার ৩৫৫ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৬০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩০৭ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত বছরের ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। শনাক্তের হার কমতে কমতে পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে। গত জুন মাসের শুরু থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করে। গেল মাসে সংক্রমণ একটু কম থাকলে চলতি মাস থেকে ফের বাড়ছে।

(ঢাকাটাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/ইএস)