প্রতিবার ভারত গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শুধু দিয়ে এসেছেন: মোশাররফ

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে কোনো কথা হয়নি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা জানি না এই সফরের অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা।

তিনি বলেন, প্রতিবার ভারত গিয়ে তিনি শুধু দিয়ে এসেছেন, কিছু নিয়ে এসেছেন বলে দাবি করতে পারেননি।

শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহিলা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালির পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।

মোশাররফ বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ভারত সফরে যাবেন দেশের কূটনৈতিক শক্তিকে বৃদ্ধি করবেন এটাই ছিল জনগণের প্রত্যাশা। কিন্তু তিনি গিয়ে কি নিয়ে এসেছেন? প্রতিবার ভারত গিয়ে তিনি শুধু দিয়ে এসেছেন, কিছু নিয়ে এসেছেন বলে দাবি করতে পারেননি। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন ভারতকে তিনি যা দিয়েছেন সারা জীবন তারা মনে রাখবে। কিন্তু আমরা স্মরণ রাখার মত এমন কিছু এখন পর্যন্ত আনতে পারেননি। সফরে গিয়েছিলেন অনেক কথা বলেছিলেন কিন্তু কোন চুক্তি হয়নি। শুধু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এটার অর্থ হচ্ছে ইচ্ছে প্রকাশ করা। কিন্তু আসল চুক্তি না হলে সেটার কোনো মূল্য নেই।

মোশারফ হোসেন বলেন, আজকে রোহিঙ্গারা আমাদের বাংলাদেশের একটি বিরাট বোঝা হয়ে গেছে। ভারতে গেছেন কিন্তু রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি। আমাদের সীমান্তে যে প্রতিনিয়ত হত্যা, সীমান্তে যে প্রতিনিয়ত মাদক চোরা-চালান হচ্ছে এগুলোর বিষয়ে কোন কথা হয়নি।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে একটি ফরমায়েশি রায়ে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। তিনি বিদেশে গিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করবেন তাও এই স্বৈরাচারী সরকার সুযোগ দিচ্ছে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঠিক একইভাবে ফরমায়েশি রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশের অবস্থান করছেন তিনি দেশে ফিরে আসতে পারছেন না।

 

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশে আজকে গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই, ভোটের অধিকার নেই। আজকে দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। এই সরকারের লোকেরা এই সরকারের সিন্ডিকেট বাংলাদেশের অর্থ লুটেপুটে নিয়েছে। শেয়ার মার্কেট ডাকাতি, ব্যাংক ডাকাতি এবং তারা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছে। কিন্তু সরকার ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না।

তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম শতকরা ৫১ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটি অগণতান্ত্রিক সরকার না হলে এটা সম্ভব হতো না। আজকে যাবানি তোদের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে মৃত্যুপণ্যদ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সরকারের কোন চিন্তা নেই। এ সরকার জনগণের সরকার নয়।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/ইএস