নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায় গৃহবধূ রীনা বেগম হত্যায় স্বামী আক্তার হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও একই মামলায় আরও পাঁচজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি আক্তার হোসেন ফতুল্লার কানাইনগর এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাড. ফজলুর রহমান বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ আজ নিশ্চিত করেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত রিনা বেগম ও আসামি আক্তার ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। প্রেমের বিয়ে হওয়ায় আসামি আক্তারের পরিবার তা মেনে নিতে পারেনি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় আসামি আক্তার রিনার পরিবারকে কল করে জানায় রিনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরবর্তীতে রিনার পরিবার আসামি আক্তারের বাড়িতে এসে খোঁজাখুঁজি করে রিনার লাশ অচেতন অবস্থায় আক্তারের পাশের জমিতে দেখতে পান। এ ঘটনায় এর পরের দিন নিহত রিনার ভাই তারা মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ফতুল্লা থানার এএসআই মাজহারুল করিম আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন। মামলায় ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/এসএ)