দেলোয়ারের সেকেন্ড হোম মালয়েশিয়ায়, আছে আরও ১১ কোটির অবৈধ সম্পদ

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:১১ | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মালয়েয়েশিয়ায় তার ‘সেকেন্ড হোম’। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে আরও ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। এছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভূত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। এসব অভিযোগ ঢাকার ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধান শেষে ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদক। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির সহকারী পরিচালক জাফর সাদেক শিবলী বাদী হয়ে রবিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মামলার বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দেলোয়ার হোসেন মোট ১১ কোটি ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮১ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জন করেন। ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৩ কোটি ৪ লাখ ৭১ হাজার ৩৬৪ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। উক্ত সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করেন।

এছাড়া দুদকে দাখিল করা তার সম্পদ বিবরণীতে দেলোয়ার তার নিজ নামে মোট ১ কোটি ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩৮৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের হিসাব দাখিল করেছেন। দুদুকের যাচাই ও অনুসন্ধানে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি পর্যালোচনায় তার নামে-বেনামে প্রায় ১০ কোটি টাকার ৮৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬১৪ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।

দুদক অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেলোয়ার হোসেন তার নিজের আয়কর নথিতে গৃহসম্পত্তির আয়, লিমিটেড কোম্পানির বেতন, অন্যান্য উৎসের আয়ের পাশাপাশি লিমিটেড কোম্পানীর ব্যবসার আয় তার ব্যক্তিগত আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেছেন।

তবে লিমিটেড কোম্পানির ব্যাবসার আয় বা দায়-দেনা ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত আয়কর নথিতে প্রদর্শন করতে পারেন না। তার আয়কর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, তার ৫৫ লাখ  ৩১ হাজার ৭০০ টাকার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস রয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারে অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ও ২৬ (২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/এসআর/ডিএম)