গোপালগঞ্জে প্রবাসী আজিজুর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:০৭

গোপালগঞ্জে পরকীয়ার জেরে কুয়েত প্রবাসী আজিজুর রহমান হত্যা মামলার ১৫ বছর পর হাবিবুর রহমান ওরফে হাবুকে মৃত্যুদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড রায় দিয়েছেন আদালত।

এসময় আজিজুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ওরফে তাপশী ও আলী মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন এ রায় প্রদান করেন। এ ঘটনায় মূল আসামি হাবিবুর রহমান ওরফে হাবু পলাতক রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ভাজন্দি গ্রামের আজিজুর রহমান। তিনি কুয়েত এ থাকার সুবাদে তার স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রাবেয়া বেগম ওরফে তাপশী পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন পার্শ্ববর্তী ভাঙা উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমান ওরফে হাবুর সাথে। এ ঘটনা জানাজানি হলে কুয়েত প্রবাসী আজিজুর রহমান দেশে ফিরে আসেন। পরে ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ কৌশলে আজিজুর রহমানকে মোবাইল ফোনে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় হাবিবুর রহমান। পূর্বপরিকল্পিতভাবে খাবারের মধ্যে চেতনা নাশক ঔষধ দিয়ে তাকে অচেতন করেন হাবিবুর। পরে মুকসুদপুর উপজেলার দিকনগর ব্রিজের পাশে গম ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে আজিজুর রহমানকে রশি দিয়ে শ্বাস রোধে হত্যা করেন তিনি। পরেরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন গমক্ষেতের মধ্যে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় আজিজুর রহমানের বাবা সরাব আলী শেখ ২০০৭ সালের ১৯ মার্চ হাবিবুর রহমান হাবু, পুত্রবধূ রাবেয়া বেগম ওরফে তাপশী ও আলী মিয়াকে আসামি করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হত্যা মামলার দীর্ঘ ১৫ বছর পর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি হাবিবুর রহমান হাবুকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার হাজার টাকা জরিমানা করেছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন। অপর দুই আসামি রাবেয়া বেগম তাপশী ও আলী মিয়াকে খালাস প্রদান করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :