ছদ্মবেশী চোর তারা, বাধা পেলেই অস্ত্রের মুখে ছিনতাই

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:২৫ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চোর চক্রের সদস্যরা ভ্যানে করে ডাব, সবজি ও ফল বিক্রেতা সেজে বিভিন্ন গলিতে বিক্রি করে বেড়ান। আর সুবিধামতো ফাঁকা বাসা টার্গেট করে। পরে সময়-সুযোগ বুঝে বাসায় মালামাল দেওয়ার নাম করে অথবা গ্রিল কেটে চুরি করে। চুরি করতে কেউ বাধা দিলে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেওয়া হয়।

রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাসের একটি বাসা থেকে ৭২ ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের সদস্যদের অস্ত্রগুলিসহ গ্রেপ্তারের পরে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। এই ঘটনায় সোমবার রাজধানীর কলাবাগান ও আদাবর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কলাবাগান থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সোহেল, ফরহাদ, ইলিয়াচ শেখ ও আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আনোয়ার। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি বিদেশি পিস্তল, ১১১ রাউন্ড গুলি, ৩টি ম্যাগাজিন, ৩ ভরি স্বর্ণ ও ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, গত ২০ আগস্ট কলাবাগান লেক সার্কাস ডলফিন গলিতে রাতে একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় গ্রীল কেটে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ৭২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলাবাগান থানায় মামলা করেন।

 

ডিসি বলেন, মামলা হওয়ার পরে নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামানের নেতৃত্বে কলাবাগান থানার একটি টিম চোর চক্রকে শনাক্তের কাজ শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় কলাবাগান থানা ও রাজধানীর আশপাশের ৫০০-র অধিক সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত চোরদের শনাক্ত করা হয়।

উপকমিশনার বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে কলাবাগান থানার ডলফিন গলি থেকে সোহেল, ফরহাদ ও ইলিয়াচকে আটক করা হয়। এরপরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলামকে আদাবর থানার নবোদয় হাউজিং বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া ওই ঘটনায় জড়িত সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে। আর এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির কলাবাগান থানায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। তাদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান।

(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টম্বর/এএইচ/কেএম)