এক গ্রুপে বিশ্বস্ততা অর্জন, অন্য গ্রুপে সর্বনাশ!
একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য মুক্তা ও তুষার। প্রথমে তারা কৌশলে জমির ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বস্ততা অর্জন করে। পরে এক-দুটি জমি ও ফ্লাট বেচাকেনায় সহায়তা করে। বিশ্বস্ততা অর্জন করার পরে তারা চক্রের অন্য সদস্যদের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পাতে।
মঙ্গলবার বিকালে সিটিটিসির ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের ইকোনমিক ক্রাইম অ্যান্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তোহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
সোমবার জমির মালিক ও সাব-রেজিস্ট্রার সাজিয়ে রাজউকের প্লট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মুক্তা আক্তার ও তুষার মিয়া।
এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের ইকোনমিক ক্রাইম অ্যান্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং টিম। পরে তদন্ত করতে গিয়ে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
এডিসি তোহিদুল ইসলাম বলেন, তারা পূর্বাচল কেন্দ্রিক রাজউকের বিভিন্ন প্লটের ভুয়া সরকারি বরাদ্দপত্র, অফিস আদেশ, মালিকানা সার্টিফিকেট, বিক্রির অনুমতিপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র তৈরি করে দেখাত ভুক্তভোগীদের। পরে ভুক্তভোগীরা বিশ্বাস করলে চক্রটির সদস্যরা রূপগঞ্জে একটি অফিসে নিয়ে যেত। সেখানে ইয়ুথ গ্রুপের অফিসে চক্রটির সদস্যরা নিজস্ব লোক দিয়ে ভুয়া মালিক ও সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে রাজউকের বিভিন্ন প্লটের ভুয়া রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত।
ভুক্তভোগীরা প্লটের দাবি করতে গিয়ে দেখেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। আর রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি ছিলো সম্পূর্ণ ভুয়া। কাফরুল থানায় রুজু করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে— জানান ওই কর্মকর্তা।
(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টম্বর/এএইচ/কেএম)