পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে গবেষণায় পুরস্কার পেলেন ৫ বিজ্ঞানী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:১৬ | প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৪৯

পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের গবেষণাগারে ২০২১-২২ অর্থবছরে সম্পাদিত শ্রেষ্ঠ গবেষণা প্রবন্ধসমূহের ওপর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য পাঁচজন বিজ্ঞানীকে পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সনদপত্র ও পুরস্কার দেওয়া হয়।

বিজ্ঞানীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের (বাপশক) চেয়ারম্যান ড. মো. আজিজুল হক, পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের পরিচালক বিলকিস আরা বেগম ও পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের সদস্যবৃন্দ ও বিদেশি অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, এই যে গবেষণার ওপর পুরস্কার দেওয়া হলো, এটা শুরু হোক। তা হলে সবার মধ্যে অনুপ্রেরণা জন্মাবে। উন্নত দেশ গড়তে বিজ্ঞানীদের ভূমিকাই মুখ্য। তাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে। ড. কুদরাত-এ-খুদার হাতে শিক্ষা কমিশনের ভার তুলে দিয়ে বঙ্গবন্ধুই প্রথম বিজ্ঞানীদের সম্মানিত করেছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, সঠিক পরিকল্পনামাফিক কাজ না করার ফলে আজ ঢাকা শহর বসবাসের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। সবই সম্ভব হতো যদি বঙ্গবন্ধুকে বাঁচিয়ে রাখতে পারতাম। ২১টি বছর আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পথ হেঁটেছি। চোখের সামনে কিছুই ছিল না। ফিজিক্যাল স্ট্রাকচারও মানুষকে কনফিডেন্স দেয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা সেই কাজটিই করেছেন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, আট লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল। এগুলো মানুষকে কনফিডেন্স দেয়। এসব দেখে মনে হয় আমরাও তো পারি।

প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান আরও বলেন, আপনারা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করেন- আমি যা করছি তা কি সঠিক করছি না বেঠিক করছি। একজন বিজ্ঞানীর জন্ম একবারই হয়। তার মৃত্যু হয় না। ফিজিক্যালি মৃত্যু হলেও তার গবেষণা নিয়েই এগিয়ে যেতে থাকে একটি সমাজ, একটি দেশ। তাকে সবসময় স্মরণ করতে হয়। এটা অন্য কারো ভাগ্যে জোটে না। শুধু বিজ্ঞানীদের ভাগ্যে জোটে।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের (বাপশক) চেয়ারম্যান ড. মো. আজিজুল হক বলেন, শুধু পুরস্কার দিলে হবে সঙ্গে তিরস্কারেরও ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রত্যেক বিজ্ঞানীকে কাজ করতে হবে। বোর্ডে দেখাতে হবে। অনেকে বলেন বিজ্ঞানীরা করছেটা কি? আসলে বিজ্ঞানীর তো কোনো সময় বা এরিয়া নেই। বিজ্ঞানীদের সত্যবাদী হতে হবে। বিজ্ঞানীদের তথ্য-উপাত্ত সঠিক আছে কি না সেটা সেমিনার করে আগে প্রকাশ করতে হবে। আমাদের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। ইউরোপরা গত দুইশ বছর আমাদের অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। তারা আগে সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য আমাদের এখানে আসত। কিন্তু তাদের বাষ্পচালিত ইঞ্জিন আবিষ্কার এগিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু আমরাও ইচ্ছা করলে পারি।

পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের পরিচালক বিলকিস আরা বেগম বলেন, আমরা এখনো আধুনিক প্রযুক্তির গবেষণাগার তৈরি করতে পারিনি। ভালো গবেষণা কাজ পেতে হলে যুগোপযোগী যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ গবেষণাগার প্রয়োজন। এবারে মোট ৮৭টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়েছিল। যার সবগুলোই ছিল ভালো। সেখান থেকে শ্রেষ্ঠ বাছাই করা বেশ শ্রমসাধ্য কাজ ছিল।

গবেষণায় যারা পুরস্কার পেয়েছেন- প্রথম পুরস্কার যৌথভাবে পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের রসায়ন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সফিউর রহমান ও বস্তুবিজ্ঞান বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নজরুল ইসলাম খান, রসায়ন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ইয়াসমিন নাহার জলি, বস্তু বিজ্ঞান বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ইঞ্জিনিয়ার শেখ মানজুরা হক ও বস্তুবিজ্ঞান বিভাগের ডা. মো. নজরুল ইসলাম খান।

(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/এসকেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

স্বস্তি নেই মাছ-মাংসে, ফের বাড়ছে আলু-পেঁয়াজের দাম 

ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি শুরু

ঢাকায় কর দিয়ে ২৬৮০ বিয়ে 

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :