চাঁদপুরে রূপালী ইলিশের দেখা নেই, সাগরের ইলিশে আড়ৎ সরগরম

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:৫১

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে রূপালী ইলিশের দেখা না মিললেও সাগরের বড়-বড় ইলিশে অর্ধ শতাধিক আড়ৎ সরগরম হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ আড়ৎগুলো নিরব থাকার পর আবার ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতা ও শ্রমিকদের সমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে।

সাগরের আমদানি করা ইলিশে চাঁদপুর মৎস্য আড়ৎ এখন সরগরম। যে কারণে পাইকারি আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা ব্যস্ততম সময় পার করছেন। বড় ট্রলার ও ট্রাকে করে সকাল থেকেই সাগরের ইলিশ আসছে শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে। তবে ইলিশের দাম আগের মতই।

চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনার এ নদীতে রূপালী ইলিশ কম পাওয়া গেলেও চাঁদপুর ইলিশের আড়ৎ এখন ইলিশে ভরপুর আড়তগুলো।

শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুরের সবচেয়ে বড় ইলিশের পাইকারি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। সাগরের ইলিশগুলো অধিকাংশ ট্রলারে করে ঘাটে আসছে এবং নোয়খালী জেলার হাতিয়া অঞ্চলের ইলিশগুলো আসছে সড়ক পথে ট্রাকে কওে চাঁদপুর আড়তে।

মাছঘাটের প্রায় ৫০টির অধিক আড়ৎ। প্রত্যেক আড়তের সামনে বড় বড় সাইজের ইলিশের স্তুপ। গত ৩-৪ বছর এত বড় সাইজের ইলিশ আমদানি হয়নি চাঁদপুরের আড়তগলোতে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এই বছর সর্বোচ্চ বড় সাইজের ইলিশ বেশি আমদানি হচ্ছে। বিশেষ করে ১ কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বেশি আসছে। ছোট সাইজের ইলিশ খুবই কম দেখা মেলে।

মেসার্স ভাই ভাই ফিসারিজের বিক্রেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশের চাহিদাই সবচাইতে বেশি ক্রেতার কাছে। কিন্তু যে পরিমাণ আমদানি হয়, তা চাহিদার তুলনা খুবই কম বলে জানান ব্যবসায়ীরা। জেলেরা যে পরিমাণ ইলিশ পাচ্ছে, তা খুব চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি সাইজের লোকাল ইলিশ প্রতি কেজি ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগরের ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, এক কেজি এবং এক কেজির ওপরের সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৭০০ টাকা দরে।

মাছঘাটে অনলাইনে এবং খুচরা ইলিশ বিক্রি করেন মো. মাছুদ। তিনি বলেন, আমাদের কাছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পদ্মা-মেঘনার রূপালী ইলিশের অর্ডার বেশি আসে। কিন্তু গত ৩ বছর লোকাল ইলিশের আমদানি খুবই কম। চাহিদা থাকলেও আমরা ক্রেতাদেরকে সে চাহিদা অনুযায়ী দিতে পারছি না। আগে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী রূপারী ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে। এখন তারা পদ্মা-মেঘনার ইলিশ না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।

চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশ কম পাওয়ার বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ইলিশ গবেষক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, যেসব এলাকায় ইলিশ পাওয়ায় যায়, সেখানে ইলিশের প্রাপ্যতা হ্রাসের বেশ কিছু কারণ আছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে-নদীতে পানি প্রবাহ হ্রাস, সামগ্রীকভাবে দেশের বৃষ্টির পরিমাণ কম, নদীতে যে আবাসস্থল রয়েছে তাতে পরিবেশগত বিপর্যয় অনেকাংশ দায়ী বলা যায়।

এছাড়া নদীর বিভিন্ন স্থানে ডুবুচর জেগে উঠাও একটি বড় কারণ। নদীর যে পরিমাণ সমস্যা দেখা যায় সেসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে আবারো পুরানো দিনের মত বিগত বছরগুলোর মত জেলেরা অবশ্যই তাদের প্রচুর ইলিশ পাবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :