‘লজিস্টিক সাপোর্ট ও প্রশিক্ষণে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি এটিইউ’

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

লজিস্টিক সাপোর্ট ও প্রশিক্ষণে এন্টি টেররিজম ইউনিট—এটিইউ এখনো কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির প্রধান এস এম রুহুল আমিন। তিনি বলেছেন, পুলিশের নতুন সংগঠন হিসেবে এটিইউর কার্যক্রম কাঙ্ক্ষিত জায়গায় যেতে আরও সাপোর্ট দরকার।

সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের এটিইউয়ের পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এটিইউ প্রধান বলেন, ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর ওপর বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর আমরা অনেকটা নিরাপদে ছিলাম। ২০১৬ সালে আবার বিচ্ছিন্নভাবে দেশকে অশান্ত করতে একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ঠিক সেই সময়ে জঙ্গিবাদবিরোধী একটি কেন্দ্রীয় সংগঠন গঠনের প্রয়োজনীয়তা প্রবলভাবে দেখা দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় এন্টি টেররিজম ইউনিট গঠিত হয়। ২০১৭ সাল থেকে ২২ সাল এই পাঁচ বছরে আমরা অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে সবার সহযোগিতায় জঙ্গিবাদ নির্মূলে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল হিসেবে প্রমাণ করেছে।

এস এম রুহুল আমিন বলেন, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার ইন্সটিউট অফ ইকোনমিক এন্ড টেররিজমের লিস্টে আমাদের অবস্থান ছিল ২১তম। গত পাঁচ বছরে সেখান থেকে পিছিয়ে ৪০ তম গিয়েছি। অর্থাৎ আমাদের দেশে জঙ্গিবাদের পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। এটি সরকারের জঙ্গিবাদ নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি এবং এটিইউসহ জঙ্গিবাদ দমনে নিয়োজিত সব সংগঠনের কার্যক্রমের ফল।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ২০০৬ সালে গ্লোবাল কাউন্টার টেররিজম স্ট্র্যাটেজি প্রকাশ করে। সেখানে চারটি কর্মকৌশলের কথা বলা হয় সদস্য রাষ্ট্রের জন্য। আমরা এটিইউ নতুন সংগঠন। সেখানে আমাদের লজিস্টিক সাপোর্ট ও প্রশিক্ষণে কাঙ্ক্ষিত জায়গা পৌঁছাতে পারিনি। এখানে আমাদের আরও সাপোর্ট দরকার।

এটিইউ প্রধান বলেন, জাতিসংঘের চারটি কর্মকৌশলের প্রথম বিষয়টি হলো জঙ্গিবাদ বিস্তারে ভূমিকা রাখে যে বিষয় সেগুলোকে দমন করা। তার মধ্যে অনেকগুলো বিষয় আছে। যেমন- আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক। আমি যেটি তুলে ধরতে চাই সেটি হলো একাডেমিক। আমরা ২০০৭-০৮ সালে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলা টেররিজম নিয়ে কাজ করছিলাম। তখনও জঙ্গি দমনে জাতিসংঘ ঘোষিত প্রথম কর্মকৌশল ছিল, সে অনুযায়ী আমাদের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ব্যাপক কাজ করার সুযোগ আছে। আমরা বিচ্ছিন্নভাবে সেটা করছি। এই বিষয়টা আরেকটু গোছাতে পারলে ভবিষ্যতে জঙ্গিদের এই পথে আসা কঠিন হবে। তারা নিরুৎসাহিত হবে।

((ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/এসএস/কেএম)