ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ফলন নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠজুড়ে চলছে রোপা আমনের আবাদ। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া আবাদ চলবে এ মাসের শেষ পর্যন্ত। নিচু এলাকায় জেলায় রোপা আমনের আবাদ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। তবে সার, সেচ ও শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়াই উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে মনে করছেন কৃষকরা। তাছাড়া এর সাথে বাড়তি যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ সংকট।
কৃষকরা বলছেন, এ বছর মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। এতে আবাদ নিয়ে তাদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫১ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার মেঃ টন। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কৃষকরা বিআর- ৪৯, ব্রি ধান-২২, খাসাসহ বিভিন্ন জাতের ধান রোপন করছেন। এ পর্যন্ত মোট আবাদের ৬৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
কৃষক রহমত আলী জানান, জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিভ্রাটসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি আমনের কাঙ্খিত ফলন নিয়ে আমরা চিন্তিত।
প্রবীণ কৃষক আব্দুস ছাত্তার জানান, কানি প্রতি উৎপাদন খরচ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের কারণে নিয়মিত সেচের অভাবে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবার আশংকা দেখা দিয়েছে। বাড়তি টাকা দিয়েও শ্রমিক মিলছে না।
জেলা কৃষি সপ্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সেচের সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক বিষয়টি কৃষি বিভাগকে জানানো জন্য বলা হয়েছে। আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষকরা যাতে জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচ দিতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনার পাশাপাশি স্বল্প মেয়াদি ও উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে শুধু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনই নয় কৃষক বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা আবাদেরও সুযোগ পাবে।
(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/এআর)