সারাদেশের সামাজিক সংগঠনগুলোকে সাইবার সচেতনতায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:০৭ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির সঙ্গে বিশ্বব্যাপী বাড়ছে সাইবার দুর্বৃত্তায়ন। আসছে অক্টোবর পালন হবে ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস (ক্যাম) অক্টোবর ২০২২’। মাসব্যাপী ক্যাম ক্যাম্পেইনের সপ্তম বর্ষ পালন হতে যাচ্ছে এবার। এতে যুক্ত হতে সারাদেশের সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস বিষয়ক জাতীয় কমিটি (এনসিক্যাম)।

ওয়েবসাইটে (cyberawarebd.com) অথবা ফেসবুক পেজে (facebook.com/cyberAwareMonth) বিনামূল্যে ‘ক্যাম চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে নিবন্ধন করে যেকোনো ব্যক্তি বা সংগঠন, ক্লাব, সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৈশ্বিক এই প্রচারাভিযানে যুক্ত হতে পারবে। সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনার জন্য কর্মকৌশল, প্রয়োজনীয় লেখা, ডিজাইন পোস্টসহ বিভিন্ন উপকরণ ও সার্বিক দিকনির্দেশনা পাবেন নিবন্ধিতরা। এতে সহজে ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিভিন্ন উপায় জানা যাবে এবং বন্ধু, পরিবার-পরিজন এবং কর্মস্থলে সহকর্মীদের সচেতন করা যাবে।

প্রতি অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে। মূলত মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইন হলো সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মধ্যে একটি সম্মিলিত প্রয়াস। সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস উদযাপনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে এটা নিশ্চিত করা হয় যে, ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকতে যেসব পূঁজি থাকা আবশ্যক আমাদের তার সবই রয়েছে।

বাংলাদেশে ২০১৬ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচি বেসরকারি উদ্যোগে পালন শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন)। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এখন এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। অক্টোবরের চার সপ্তাহে আলাদা থিম নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী প্রচারাভিযান বা ক্যাম্পেইন হয়। ২০২১ সাল থেকে দেশব্যাপী এই কর্মসূচিকে ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও প্রযুক্তি পেশাজীবীদের নিয়ে গঠন হয় ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস বিষয়ক জাতীয় কমিটি – এনসিক্যাম। জাতীয় কমিটির নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন হচ্ছে।

আশা করা হচ্ছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ‘ক্যাম ক্যাম্পেইন’ বিশ্বের বাংলাভাষীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করবে। পৌঁছে যাবে দেশের সব ভোক্তা, ছোট ও মাঝারি আকৃতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, করপোরেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তরুণ সমাজসহ তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিটি মানুষের কাছে। -বিজ্ঞপ্তি

(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/কেএম)