পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, জেলাজুড়ে সমালোচনা ঝড়

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:০৩

সম্প্রতি গাইবান্ধা শহরের মাস্টারপাড়ায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহিনের উপর মাদক কারবারি সৈকত বাহিনীর ন্যাক্কারজনক হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের দায়িত্বহীনতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এসআই নয়ন সাহার সাথে মাদক কারবারিদের সখ্য নিয়েও।

অন্যদিকে এই হামলায় শাহিনের পরিবারের পক্ষ থেকে কিংবা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না হওয়ায় সৈকতকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি থমকে আছে। যদিও পুলিশ বলছে, সৌকতকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী নারী জানান, গাইবান্ধা সদর থানার এসআই নয়ন সাহা আমার একটি মামলার ব্যাপারে ও আসামি ধরতে তিন দফায় সাত হাজার টাকা নিয়েছে। অথচ আসামিকে সে ধরেনি। আসামি ধরলেন না কেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান আসামির জামিন হয়েছে।

শহরের মাস্টার পাড়া এলাকার মাহফুজ নামে এক ঔষধ ব্যবসায়ী জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে আমি দোকানে কোরআন শরিফ পড়তে ছিলাম। হঠাৎ করে সদর থানার এসআই নয়নসহ আরো কয়েকজন পুলিশ অফিসার সিভিল পোশাকে আমার দোকানে এসে সার্চ করা শুরু করে। আমি সার্চের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলে তোর দোকানে মাদক আছে। পরে কোন কিছু না পাওয়ায় তারা আমাকে ধরে নিয়ে সদর হাসপাতালে যায়।

ঠিকাদার খান মো. সাঈদ হোসেন জসিম বলেন, গাইবান্ধা সদর থানার এসআই নয়ন সাহা আমাকে একটি মামলায় আমিসহ আমার তিন ভাইকে চার্জশিটভুক্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। অথচ ওই মামলার এজাহারে আমাদের কোন ভাইয়ের নাম ছিল না। টাকার বিনিময়ে অন্যায়ভাবে এই কাজটি তিনি করেছেন। আমি তার বিরুদ্ধে আইজিপিসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর অভিযোগ করেছি, অভিযোগটি বর্তমানে তদন্তাধীন অবস্থায় আছে।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম গোলাপ বলেন, একজন এসআই-এর বিরুদ্ধে এত বিস্তর অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করি। প্রয়োজনে তদন্ত করা যেতে পারে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

এ বিষয়ে এসআই নয়ন সাহার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদার রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ঢাকায় তার ছেলে পড়তেই পারে। কিন্তু তার মেয়ে যে অ্যামেরিকায় উচ্চ শিক্ষায় লেখাপড়া করতে গেছে কিংবা তার ফ্যামিলি ঢাকায় ফ্লাট বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকে এ বিষয়গুলো আমার জানা নেই।

(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :