জামালপুরে দুই সমকামী কিশোরীর কাণ্ডে এলাকায় তোলপাড়

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৪০ | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৩৬

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি এলাকার এক সমকামী কিশোরী জবা আক্তার (ছদ্মনাম) প্রেমের টানে ছুটে এসেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের হাটবাড়ি গ্রামের  কিশোরী শেফালীর (ছদ্মনাম) বাড়িতে। এতে বিপদে পড়ে যায় অভিভাবকরা।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলার ইউনিয়নের হাটবাড়ি গ্রামের দুদুর বাড়িতে দুই সমকামী কিশোরীকে দেখতে ভিড় জমায় হাজারো নারী-পুরুষ ।

এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় হলে দুই সমকামী মেয়েসহ তাদের দুই সহযোগীকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডোয়াইল হাটবাড়ী গ্রামের দুদুর মেয়ে (১৫) ও টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার রয়েজ আলীর মেয়ে (১৫) ডোয়াইল ইউনিয়নের কুঠিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। তারা দুজনেই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ফলে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ অবস্থায় তারা তিনদিন আগে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার্য করে বিবাহের অঙ্গীকার নামা লিখেন। পরে তাদের পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে ঢাকার মহাখালী ডোয়াইলের হাটবাড়ী থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সঙ্গে তাদের দুই সহযোগী মুক্তা (ছদ্মনাম) (১৭) ও নারগিস (ছদ্মনাম) (১৮) নামে দুই মেয়েকেও নিয়ে আসা হয়। পরে এ নিয়ে বুধবার সকালে ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়রা শালিস করেন। শালিসে ওই মেয়েদের কথা-বার্তায় তাদেরকে সমকামী বলে সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেন। 

জবা আক্তারের বাবা দুদু মিয়া বলেন, অপর মেয়েটি তার মেয়ের বান্ধবী। মাঝে মধ্যে সে এখানে বেড়াতে আসত। তিনদিন আগে অপর মেয়েটি তার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে মহাখালীতে নিয়ে যায়।

কিন্তু জবা ও শেফালী বলেন ভিন্ন কথা। তারা সাফ জানিয়ে দেন, তারা একে অপরকে খুব ভালোবাসে। তাই তারা বিয়ে করেছে। ৩ বছর আগে তাদের সম্পর্ক হয়। তাদের উভয়ের সম্মতিক্রমে বিয়ে হয়েছে। তারা একজন আরেক জনকে ছাড়তে পারবে না।

ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন বলেন, কিভাবে মেয়ের সঙ্গে মেয়ের বিবাহ হয়। এটা সত্যিই একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। এই মেয়েদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি গোলমেলে মনে হয়। তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ সময় তাদের অপর দুই মেয়ে সহযোগী পুরান ঢাকার ১১নং রোডের রফিক মিয়ার মেয়ে মুক্তা (১৯) ও নারগিসকেও (১৯)  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি মহব্বত কবীর জানান, এ বিষয়ে চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে পরিবারের লোকজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/এআর)