মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২৫ কর্মী আটক, আত্মগোপনে নেতারা

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকায়। সংঘর্ষের পর এখনো আতঙ্ক বিরাজ করা বলে জানিয়ে ব্যবসায়ীরা।

এদিকে বুধবার সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার  সকাল পর্যন্ত বিএনপির ২৫ জনকে আটক হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷  তবে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। 

এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা বিএনপির তিন কর্মীর মধ্যে মুখে গুলিবিদ্ধ শাওন অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে সূত্র। সংঘর্ষে আহত ১০ পুলিশ ও তিন সাংবাদিকসহ বিএনপি কর্মীরা মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের অবস্থা বর্তমানে ভালো রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, অনুমতি ছাড়া সমাবেশে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ৮-১০ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিশৃঙ্খলার ঘটনায় মামলা পক্রিয়াধীন আছে।

নেতারা আত্মগোপনে

এদিকে সংঘর্ষের পর বিএনপি নেতারা অনেকটা আত্মগোপনে চলে যায়। বুধবার সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির কোন পর্যায়ের নেতাদের জেলা কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি। মূলত গ্রেপ্তার এড়াতেই মাঠে নেই নেতারা বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র। 

সরজমিনে, শহরের জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়- সেখানে ঝুলছে তালা। সকালে থেকে কার্যালয় খোলা হয়নি বলে জানায় আশেপাশের দোকানের লোকজন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, সংঘর্ষের পর থেকে পুলিশ অনেককে আটক করছে। মামলা দেওয়া হচ্ছে। তাই গ্রেপ্তার এড়াতেই নেতার সরে আসেন। যে যার মত পারছে আশেপাশে সরে আছেন।

এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে মুক্তারপুরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিণত হয়। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় ৮টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে পুলিশের এএসপি,  সদর থানার ওসিসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান নেতাকর্মীরা। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহকালে আহত হন তিন সাংবাদিক।

(ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/এলএ)