বগুড়ায় নৈশপ্রহরীকে পেটা‌নোর অভিযোগ, ইউএনও বললেন ‘নাটক’

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৫০ | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০২

বগুড়া প্রতি‌নি‌ধি, ঢাকাটাইমস

বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীকে (নৈশপ্রহরী) পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পালের বিরু‌দ্ধে। তবে এ ঘটনা অস্বীকার করে ইউএনও দাবি করেন, ‘এটি তার বিরুদ্ধে একটি সাজানো নাটক।’

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

আহত কর্মচারী আলমগীর শেখ (৪৮) উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের নৈশপ্রহরী। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলমগীর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চক শিয়ালকোল এলাকার প্রয়াত মেহের আলীর ছেলে। 

জানা গেছে, আলমগীর হোসনের স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এ কারণে আলমগীর তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বুধবার আলমগীরের স্ত্রী শহিদা বেগম উপজেলা পরিষদে গিয়ে স্বামীর খোঁজ করেন। স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পারিবারিক কলহের বিষয়টি অবহিত করেন এবং স্বামীর বিরুদ্ধে নালিশ করে ফিরে যান।

আলমগীরের জামাতা মাসুদ ও মেয়ে লোপা খাতুন বলেন, ইউএনও অভিযোগ যাচাই বাছাই না করেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আনসার সদস্যদের মাধ্যমে আলমগীরকে ইউএনওর কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে স্ত্রী শহিদার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আলমগীরকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।  
ইউএনওর কক্ষ থেকে আলমগীর বের হয়ে উপজেলা পরিষদের মসজিদের সামনে রাস্তায় পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। খবর জানাজানি হলে স্থানীয় কিছু লোকজন সেখানে ভিড় করেন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পাল বলেন, প্রায় ৭-৮ দিন যাবৎ আলমগীরের তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা চলছিলো। সে তার স্ত্রীকে আমার অফিসের সামনে রেখে পালিয়ে চলে যায়। আবার তার স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের অফিসের মধ্যে রাতে থাকতো। বিভিন্ন ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে আসছিলো। এভাবে সে পরিষদের পরিবেশ নষ্ট করছিল। 

ইউএনও বলেন, গতকাল রাত ১২টার সময় আমার এক বডিগার্ড এসে আমাকে জানায়, আলমগীরের স্ত্রী অফিসের নিচে পরে আছে, আর আলমগীরকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি তখন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, তার স্বামী আলমগীর গত কয়েক দিন যাবৎ তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। তার ভরণপোষণ করছে না। 

তিনি বলনে, এরপর তাকে তার মেয়ের বাসায় সিএনজিতে করে পাঠিয়ে দেই। এরপর আজকে আলমগীর অফিসে আসলে তাকে ডেকে বিষয়গুলো জিজ্ঞেস করলে সে উল্টোপাল্টা কথা বলা শুরু করলে আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এবং এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে তাকে পারিবারিক সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়। 

তিনি আরো বলেন, এই ঘটনার পর কোনো তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিয়ে তাকে ইন্ধন যুগিয়েছে। এরপর মারধরের একটা নাটক সৃষ্টি করছে। 

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এসএম)