মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

মাদারীপুর প্রতি‌নি‌ধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৫৭ | প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৩৬

মাদারীপুরের ডাসারে সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি অ্যান্ড উইমেন্স কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।

বিষয়টি রাত সাড়ে ৯টায় নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা।

তদন্ত কমিটির অহ্বায়ক করা হয়েছে কলেজের সংস্কৃত বিভাগের প্রধান সিনিয়র শিক্ষক সন্ধ্যা রানী দাসকে। বাকি ছয়জন হলেন, প্রভাষক বিবেকানন্দ দাশ, নাসরিন খানম, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ রহমান, মো. সালাউদ্দিন, হুমায়ন কবির ও শেখ মাহবুবুল আলম।

আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে শিক্ষকের নিপীড়নের অভিযোগের দুই মাসেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভয়ে ওই ছাত্রী কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

কলেজ সূত্র জানায়, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও পাঁচবার বিভিন্ন কারণে কলেজ থেকে শোকজ করা হয়। সর্বশেষ এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

ওই শিক্ষকের দাবি, তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

‘‘ সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই ওই শিক্ষকের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
- জাকিয়া সুলতানা, কলেজের অধ্যক্ষ

ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষক কলেজের ক্লাস শেষে ক্যাম্পাসেই ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতেন। গত ২৪ জুলাই ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে গেলে ওই শিক্ষক তাকে নিয়ে ক্যাম্পাসের ২০৪ নম্বর কক্ষে যান। পড়ানো শেষে ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে তিনি যৌন নিপীড়ন করেন। পরে ওই ছাত্রী কৌশলে ওই কক্ষ থেকে পালিয়ে বেগম রোকেয়া ছাত্রীনিবাসে চলে যায়।

এরপর ওই ছাত্রী শিক্ষকের বিচার চেয়ে ১ আগস্ট অধ্যক্ষের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। এক মাসের বেশি সময় পর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা। ১৪ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিয়েছেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। সেখানে তিনি এ ঘটনা পুরোটাই সাজানো এবং তার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন।

কলেজের অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমাদের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওঠায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং ডাকা হয়। সেই মিটিং সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই ওই শিক্ষকের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :