চুয়াডাঙ্গায় একসঙ্গে ৫ সন্তান প্রসব, কেউ বেঁচে রইল না

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:১৮ | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:২৪

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় বিয়ের ১০ বছর পর একসঙ্গে এক সঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সালেমা খাতুন (২৭) নামে এক গৃহবধূ। তবে পাঁচ নবজাতকের কেউ বেঁচে নেই।

বৃহস্পতিবার সন্ধায় উপজেলার বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এ্যাপোলো ক্লিনিক এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পাঁচ সন্তান প্রসব করেন তিনি।

এদিকে প্রসবের কিছুক্ষণ পরই এক সঙ্গে পাঁচ সন্তান মারা যায়। তবে মা সালেমা খাতুন সুস্থ আছেন। তিনি উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের ঝন্টু মিয়ার স্ত্রী।

‘‘ বিয়ের ১০ বছর পর সন্তানের মুখ দেখলাম। কিন্তু কেউ বেঁচে রইল না। বর্তমানে আমার স্ত্রী সুস্থ আছেন।
- ঝন্টু মিয়া

বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মামুন আর রশীদ বলেন, সন্ধার আগে স্বামীর সঙ্গে ওই প্রসুতি বিকেলে পেট ব্যাথা নিয়ে ক্লিনিলে আসেন। ক্লিনিকে ঢোকার পরই প্রথমে একটি সন্তান প্রসব করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকের সহযোগিতায় বাকি চার সন্তান প্রসব করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পাঁচ নবজাতকের মৃত্যু হয়। 

সালেমার খাতুনের স্বামী ঝন্টু মিয়া বলেন, বিকেলে স্ত্রীর পেট ব্যাথা হলে ক্লিনিকে নিয়ে আসি। এরপরই একে একে পাঁচটি সন্তান প্রসব করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাঁচ সন্তানই আল্লাহপাকের ডাকে সাড়া দিয়েছে। বিয়ের ১০ বছর পর সন্তানের মুখ দেখলাম। কিন্তু কেউ বেঁচে রইল না। বর্তমানে আমার স্ত্রী সুস্থ আছেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুমা ফেরদৌস বলেন, বাচ্চাদের বয়স সাড়ে ৪ মাস। মূলত জরায়ুর সমস্যার কারণে প্রসব করেন তিনি। একটি মেয়ে, দুটি ছেলে  ও বাকি দুজন এক সঙ্গে জোড়া থাকায় চিহ্নিত করা যায়নি। সালেমা খাতুন চিকিৎসাধীন ও সুস্থ আছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এসএম)