কেমন আছেন গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ রনি?

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:০৭

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

এক সপ্তাহ ধরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি। একই ঘটনায় আহত হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানও। এখন কেমন আছেন তারা?

এ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে। খ্যাতিমান এই চিকিৎসক ঢাকা টাইমসকে বলেছেন, ‘আবু হেনা রনির অবস্থার বেশ ভালো উন্নতি হয়েছে। জিল্লুর রহমানের শারীরিক অবস্থারও উন্নতি হচ্ছে।’

সামন্ত লাল বলেন, ‘শনিবার রনি ও জিল্লুর রহমানকে ড্রেসিং করা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাদের কেবিনে স্থানান্তর করা হবে কিনা। তবে আশা করা হচ্ছে, তাদের কেবিনে স্থানান্তর করা যাবে। তারা এখন ইনস্টিটিউটের এইচডিওতে (হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট) চিকিৎসাধীন।’

গত শুক্রবার বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়ে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হন আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন। দুর্ঘটনার পর দগ্ধদের প্রথমে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরে সেখান থেকে আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন নামে একজনকে এবং পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। এর মধ্যে রনির শরীরের ২৫ শতাংশ এবং পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের শরীরের ১৯ শতাংশ পুড়ে যায়।

ঘটনার পরদিন (শনিবার) সকালে রনি ও জিল্লুরকে দেখতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। এ সময় তিনি দগ্ধদের চিকিৎসায় সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

এরপর গত সোমবার দগ্ধদের দেখতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি রনি ও জিল্লুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে, রনি ও জিল্লুর রহমানের চিকিৎসার জন্য গত রবিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ১১ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। তাদের তত্ত্বাবধানেই চলছে চিকিৎসা।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এএইচ)