নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রী অদিতা হত্যাকাণ্ডে সাবেক কোচিং শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৩৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকা স্কুলছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবদুর রহিম রনি (২৫) নামের তার সাবেক এক কোচিং শিক্ষকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

প্রাথমিক আলামতে রনির শরীর থেকে ভিকটিম কর্তৃক নখের কিছু আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া যায়।

শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।  

গ্রেপ্তারকৃত রনি লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ সুপার জানান, নিহত শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদ (২০) ও আবদুর রহিম রনিকে (২০) গ্রেপ্তার করে। 

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সে প্রাথমিকভাবে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে, রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে নখের আঁচড় রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় রনি ও ইসরাফিল আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, রনির কোচিং থেকে কিছুদিন আগে পড়া বন্ধ করে দিয়ে অন্যস্থানে প্রাইভেট শুরু করে অদিতা। এতে ক্ষিপ্ত হয় রনি, যদিও পরে অদিতাদের বাসায় বিভিন্ন সময় আসা যাওয়া করতো সে। অদিতার মা ঘরে না থাকার সুযোগ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে কোনো একসময় বাসায় গিয়ে অদিতাকে ধর্ষণ ও পরে ঘটনা দামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘরে থাকা ছোরা দিয়ে হাত ও গলা কেটে তাকে হত্যা করে। পরে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ঘরে আলমেরিতে থাকা মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে অদিতার মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সে নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মৃতদেহটি অর্ধনগ্ন, গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এসএম)