বিশ্বজয়ী হাফেজ তাকরীমকে নিয়ে গর্বিত মুশফিক

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৪৩

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার ৪২তম আসরে তৃতীয় স্থান অধিকার করা বাংলাদেশি ক্ষুদে হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম সৌদি আরবের মক্কা থেকে দেশে ফিরেছে বৃহস্পতিবার রাতে। তাকে নিয়ে গর্বিত গোটা দেশ। গর্বিত ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমও।

‘মিস্টার ডিপেনডেবল’ তার সেই গর্বের কথা তুলে ধরেছেন ফেসবুকে পাতায়। মুশফিকুর রহিম স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘মাশাআল্লাহ্, আলহামদুলিল্লাহ। তোমাকে নিয়ে গর্বিত ছোট ভাই। দয়া করে আমাদের জন্য দোয়া করো।’

এদিকে, বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীমকে অভিবাদন জানাচ্ছেন দেশ-বিদেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সামাজিক যোগাযোগ মেতেছে তাকরীম বন্ধনায়। এই ক্ষুদে হাফেজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জনপ্রিয় ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীও।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজ বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার ৪২তম আসরে অংশ নেন। সেখানে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন বাংলাদেশের তাকরীম। তাকে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম রাজধানীর মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী, ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা গ্রামে। বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদরাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী।

এর আগে লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম সপ্তম স্থান অর্জন করেন। পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেন।

এছাড়া গত ২২ মে আন্তর্জাতিক কিরাত সংস্থা বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে লিবিয়ার বন্দরনগরী বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত ১০ম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।

এর আগে তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তাকরীম বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা বিশ্ব দরবারে সমুন্নত করেন। ২০২০ সালের পবিত্র রমজান মাসে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশন আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় সালেহ।

তাকরীম ছাড়াও মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদ্রাসার একাধিক ছাত্র কুয়েত, মিশর ও আলজেরিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েও করোনার কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এএইচ)