কাটা পড়ছেন মেয়র আরিফ!

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৪২

মো. মুন্না মিয়া, সিলেট

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবারের সিটি নির্বাচন থেকে বাদ পড়ছেন। তাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে সিলেট-১ অথবা সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে বলে গুঞ্জন উঠছে। তবে মেয়র জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। দল যেখানে চাইবে সেখানে আমি থাকবে।

জানা যায়, টানা দুইবার সিলেট সিটি কর্পোরেশন’র মেয়র আরিফুল হক নগরবাসীর ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। আলোচনা-সমালোচনার মধ্যদিয়ে দুই টার্ম পালনের শেষ বাজেট অনুষ্ঠানে তিনি বলেন- ‘এটি সম্ভবত আমার পরিষদের শেষ বাজেট।’

এ বক্তব্যের পর মেয়র আরিফকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। তিনি কি আর সিটি নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

তবে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মীনি ডা. জুবাইদা রহমান সিটি নির্বাচন করতে পারেন। যদি জুবাইদাকে সিটিতে দেয়া হয়; সেক্ষেত্রে বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে দলের সিলেট-১ আসনের প্রার্থী দেয়া হবে। যদি এর উল্টো হয়, তাহলে খন্দকার মুক্তাদির সিটিতে মেয়র নির্বাচন করবেন আর ডা. জুবাইদা রহমান সিলেট-১ আসনে নির্বাচন করবেন। আর বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী করা হতে পারে।

তবে এক্ষেত্রে ঘি ঢেলে দিয়েছেন সিসিকের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মেয়র’র কাছের লোক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক সাহাব উদ্দিন শিহাব।

তিনি বুধবার তার ফেসবুক টাইমলাইনে সূত্রের তথ্যের মতে মেয়র আরিফের সিটি নির্বাচন না করা নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সে পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন- ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ এবং সিলেট-৪ এ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী হবেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জননন্দিত মেয়র ও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম দিলদার হোসেন সেলিম সাহেবের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতেই তিনি প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।’

এ বিষয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি পূর্বের মতো আসন্ন সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হব। এ ব্যাপারে আমার সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, ‘আমি জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী। দল প্রার্থিতা দিলে আমি নির্বাচনে করব। সবশেষে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। দলের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেব।’

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এলএ)