শারীরিক সম্পর্ক, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রবাসীর স্ত্রীর অনশন

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:৫৮ | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:২৭

কালীগঞ্জ ( গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই প্রেমিকা (২২) বিয়ের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে দুদিন ধরে প্রেমিক রাহিম শেখের (২০) বাড়িতে অনশন করছেন।

 

এদিকে প্রেমিকাকে বাড়িতে আসতে দেখে প্রেমিক রাহিম ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

 

এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনশনকারী ওই নারীকে দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকার লোকজন রাহিমের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে।

 

ঘটনাটি উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের বিনিরাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামে ঘটেছে। অভিযুক্ত প্রেমিক রাহিম ওই গ্রামের সেকান্দর আলী শেখের ছেলে।

 

সরজমিনে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গিয়ে দেখা যায় ভিকটিম রাহিমের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ সময় ভুক্তভোগী প্রেমিকা জানান, গত ৭ বছর আগে প্রতিবেশী মালয়েশিয়া প্রবাসী ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের ৫ বছর পর বিনিরাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের রাহিম শেখের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। তার পর থেকেই তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্রে রাহিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে।

 

তিনি আরো জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী বিয়ের জন্য রাহিমকে চাপ প্রয়োগ করলে তিনি বিভিন্নভাবে টালবাহানা করতে থাকেন এবং স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বলেন। পরে সরল বিশ্বাসে তার কথা মতো প্রবাসী স্বামীকেও ডিভোর্স দেয়। কিন্তু ডিভোর্স দেওয়ার পর তাকে আর বিয়ে করবে না বলে জানায়। এছাড়াও রাহিম তাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। পরে কোনো উপায়ন্তর না দেখে শুক্রবার সকালে বিয়ের দাবিতে রাহিমের বাড়িতে অবস্থান নেয়।

 

অভিযুক্ত রাহিমসহ তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকায় এবং রাহিম শেখের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

এ বিষয়ে জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শহিদুল্লাহ শহিদ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মেয়ে ছেলের বাড়িতেই অবস্থান করছে। তবে আমি দুই পক্ষের অভিভাবক পর্যায়ের কাউকে পাইনি, যাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যায়। বাড়িতে তাদের দুই পক্ষকে বলে এসেছি বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য।

 

জাঙ্গালীয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সারোয়ার বলেন, দুই পরিবারের কেউ আমাকে বিষয়টি জানায়নি। তবে আমি ঘটনাটি আমার পরিষদের সদস্যের কাছ থেকে শুনেছি। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

 

(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/এআর)