ইরানে ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:১৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ইরানে হিজাব ইস্যুতে মাহশা আমিনি মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেট সেবা নিয়ন্ত্রিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইরান সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইরানের ইন্টারনেট-সেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইরানি জনগণ যাতে বিচ্ছিন্ন ও অন্ধকারে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে আমরা সাহায্য করতে যাচ্ছি। সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার ফলে আমেরিকান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ইরানে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবে।’

মাহশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনিকে হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে আটক করে দেশটির মোরালিটি পুলিশ। তারপর তাকে পুলিশের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়। গত শুক্রবার তিন দিন কোমায় থাকার পরে মৃত্যুবরণ করেন মাহশা আমিনি।

পুলিশের দাবি, মাহশা আমিনি হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, পুলিশের ভ্যানে তোলার সময় মাহশা আমিনিকে নির্যাতন করা হয়। একারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে দেশটির ৮০টি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হচ্ছে। বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাদের গুলিতে প্রতিদিন হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইরানের সরকার বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির নেটওয়ার্ক কার্যক্রম ধীরগতি করে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহারেও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভের তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লব হওয়ার পর থেকে নারীদের জন্য হিজাব পরিধান বাধ্যতামূলক। দেশটির মোরাল পুলিশ এই ড্রেস কোড কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করে।

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ড্রেস কোডের নিয়ম বাস্তবায়নে বিভিন্ন মানুষ বিশেষত তরুণীদের সঙ্গে মোরাল পুলিশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে ঘিরে কড়া প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা অনেক সময় জোর করে নারীদেরকে পুলিশের গাড়িতে তোলে।

২০১৭ সালে কয়েক ডজন নারী জনসম্মুখে হিজাব খুলে প্রতিবাদ জানান। তখন কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/আরআর)