পিস্তল তাক করার পর চেয়ারম্যানকে মিষ্টি খাওয়ালেন এমপি বাবলু!

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:১৪

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বগুড়া-৭ আসনের এমপি রেজাউল করিম বাবলু এবং শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যানদের ভেতরকার দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে পরস্পর বুকে বুক মেলালেন, মিষ্টি খাওয়ালেন। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে সম্প্রীতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গছে।

শনিবার দুপুরের এমপি বাবলু এবং চেয়ারম্যা ছান্নুর এ রকম ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় নেট দুনিয়ায় তাদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের দোতলায় এমপির সমর্থক ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেল চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু উভয় পক্ষকে থামানোর জন্য এগিয়ে গেলে সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু পিস্তল বের করেন। এই ঘটনার জেরে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন, তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়, কুশপুত্তলিকা দাহ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমপি বাবলু’র বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে থাকেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংসদ সদস্য এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যকার বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এরপর মিষ্টি খাওয়ানো এবং বুক মিলানো হয়।

শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেন ছান্নু এ প্রসঙ্গে বলেন, এমপি (সংসদ সদস্য) ঝামেলায় যাবেন না, কোথাও কোন অভিযোগ করেননি, অন্যদিকে আমাদের সিনিয়ররা চাচ্ছেন এ ঘটনা আর লম্বা না হোক। এ কারণে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় অন্য এক জায়গায় সৌজন্য সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। বিষয়টি পজিটিভ ভাবে নেয়ার জন্য তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।

অপর দিকে বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আমার ছোট ভাই, তিনি ভুল বুঝতে পেরে শনিবার আমার বাসায় আসেন। এ সময় তার সাথে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকও ছিলেন।

সংসদ সদস্য বলেন, কেউ ভুল বুঝে বাসায় এসে ক্ষমা চাইলে আর কিছু করার থাকে না। তিনি আরো বলেন, আমি তো এমপি, আমার ওপরে এই উপজেলায় আর কোন পদ পদবী না, তাই ওদেরকে ক্ষমা করে বুকে জড়িয়ে নিয়েছি। এ সময় বাসায় যা ছিল তাই দিয়ে আপ্যায়ন করেছি।

(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/এআর)